ইতিহাসের পাতায় স্বাধীনতার পর অন্যান্য সরকার প্রধান থেকে শেখ হাসিনাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের সরকার প্রধান
রুহুল কুদ্দুস টিটো
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী। তিনি মোট ৭ বার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ইতিহাসের পাতায় শেখ হাসিনাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের সরকার প্রধান। দু’হাজার নয় সালের ৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তৃতীয় বার এবং ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এখনো সরকার প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার করে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পুন:প্রবর্তন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন তিনি।
তবে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ এবং দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো প্রায় তের বছর আর প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রথমে সামরিক আইন প্রশাসক ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রায় নয় বছর দেশ শাসন করেছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনিই ছিলেন তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি হিসেবেই শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরেন ১০ই জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।
কিন্তু ১২ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ।কারণ এগারই জানুয়ারি তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্তের পর শেখ মুজিবুর রহমান কিছু সাংবিধানিক নির্দেশ জারি করেন এবং সে অনুযায়ী সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
আর নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। বিচারপতি চৌধুরীর পর তখনকার স্পীকার মুহম্মদুল্লাহ্ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।পরে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে বাকশাল গঠনের পর আবারো রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন শেখ মুজিবুর রহমান।
এর কয়েক মাস পর অগাস্টের ১৫ তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।
১৫ অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা, খন্দকার মোশতাক আহমাদকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করেন। একই দিন মি. আহমাদ দেশে সামরিক আইন জারী করেন।
তবে বাংলাদেশের রাজনীতির সেই ভয়ংকর অস্থির সময়ে সামরিক অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের জের ধরে পঁচাত্তরের ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।তেসরা নভেম্বর এক সামরিক অভ্যুত্থান মি. আহমাদের পতন ডেকে আনে। সেদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক একজন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি ও দু’জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ চারজন শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করে সেনা বাহিনীর কয়েকজন অফিসার।তিন দিন পর খন্দকার মোশতাক আহমাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন।
প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান পদচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের নেতা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজেকে সেনা প্রধান ঘোষণা করেন এবং ছয়ই নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন।
পরের দিন বদলে যায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। সিপাহী বিদ্রোহতে নিহত হন তেসরা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের নায়ক খালেদ মোশাররফ, সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আবার চলে যায় জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।তবে বিচারপতি সায়েম ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে বহাল ছিলেন, যদিও ক্ষমতার চাবি-কাঠি ছিল জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।
সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের জের ধরে ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বর রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়াউর রহমান।
তাকে চিফ অফ আর্মি স্টাফ এবং উপ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম।এরপর ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সায়েমকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ।
এক বছর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করেন জেনারেল রহমান, এবং ১৯৭৮ সালের তেসরা জুন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। একই বছর পহেলা সেপ্টেম্বরে নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান, যার নামকরণ হয় বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। উনিশ’শএকাশি সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।
উনিশ’শ বিরাশি সালের ২৪শে মার্চ তৎকালীন সেনা প্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান তিনি ও রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্সান উদ্দীন চৌধুরী।
কিন্তু ২৭শে মার্চ ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব শুরু করে ১৯৮৩ সালের এগারই ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে সরে যান তিনি।
উনিশ’শ বিরাশি সালের ২৪শে মার্চ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক শাসন জারি করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
রেডিও টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে সেদিন তিনি বলেছিলেন, “জনগণের ডাকে সাড়া দিতে হইয়াছে, ইহা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিলোনা”।এরপর ১৯৮৬ সালে নির্বাচনের আয়োজন করে আবারো রাষ্ট্রপতি হন তিনি এবং শেষে প্রবল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। সকল বিরোধী দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ একটি ‘নিরপেক্ষ নির্দলীয় কেয়ারটেকার’ সরকার গঠন করেন, যার একমাত্র দায়িত্ব ছিল তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।
তার শাসনামলে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি।
উনিশ’শ একানব্বই সালের অগাস্টে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী পাশ হলে সতের বছর পর আবার সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ওই বছরের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার প্রধান হন।
একই বছর অক্টোবরে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ বিদায় নেয়ার পরে রাষ্ট্রপতি হন আব্দুর রহমান বিশ্বাস।খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ দিকে বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে।ওই আন্দোলনের মধ্যেই ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন হলেও তা বর্জন করে আওয়ামী লীগসহ তখন অধিকাংশ বিরোধী দল।
ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিরোধ আরও জটিল হয়ে ওঠে।নির্বাচনে জিতলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সংবিধান সংশোধনের পর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি।ত্রিশে মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেন খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশের ৭ম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি বাংলাদেশের ৭ম প্রধান বিচারপতি এবং পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিচারপতি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তার শাসনামলে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদের পর রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ।পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।মিস্টার রহমানের অধীনে ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।
দু’হাজার এক সালের অক্টোবরে দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তার এই মেয়াদের শেষ দিকে এসে সংবিধানের একটি সংশোধনীকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো আবারো আন্দোলন গড়ে তোলে।
এ মেয়াদে নতুন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন অধ্যাপক ড: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ।শেষ পর্যন্ত তীব্র আন্দোলনের মুখেও পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে মিস্টার আহম্মেদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন খালেদা জিয়া।
কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপক সহিংসতা রূপ নিলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।
দু’হাজার সাত সালের ১২ই জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক একজন গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।
সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রায় দু বছর সরকার প্রধান ক্ষমতায় ছিলেন তিনি, যদিও তার পদবী ছিলো প্রধান উপদেষ্টা।তার সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের উনত্রিশে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়ে আবারো ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।তার হাতেই ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন মিস্টার আহমদ।
দু’হাজার সাত সালের ১২ই জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক একজন গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।
সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রায় দু বছর সরকার প্রধান ক্ষমতায় ছিলেন তিনি, যদিও তার পদবী ছিলো প্রধান উপদেষ্টা।তার সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের উনত্রিশে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়ে আবারো ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।তার হাতেই ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন মিস্টার আহমদ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ইতিহাসের পাতায় শেখ হাসিনাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের সরকার প্রধান। দু’হাজার নয় সালের ৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তৃতীয় বার এবং ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এখনো সরকার প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করছেন তিনি।
তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নিলেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। আবার ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মেয়াদ শেষে ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মোঃ জিল্লুর রহমান।
দু’হাজার তের সালের ২০শে মার্চ তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ।
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ২০২৩ সালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে নির্ধারিত ছিল। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, যিনি সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন।
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসিবাংলা,উইকিপিডিয়া