পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর প্রধান প্রধান সব সরকারি ভবন ও বাসস্থান দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য করে।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা এখন নজিরবিহীন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন সর্বগ্রাস দুর্নীতি আর ধারাবাহিক অর্থণৈতিক অব্যবস্থাপনায় দেশটিকে তিলে তিলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে এসেছিলো।
শ্রীলঙ্কার ইতিহাস
শ্রীলঙ্কার ইতিহাস বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশের এবং দক্ষিণ এশীয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের ইতিহাসের সাথে জড়িত। শ্রীলঙ্কা দ্বীপে আাদি মানবের (বালঙ্গোদা মানব) যে দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল তা প্রায় ৩৮,০০০ বছর পূর্বেকার।
পালি ভাষায় লেখা মহাবংশ, দীপবংশ ও চোলবংশ নামক তিনটি বইয়ের ধারাবিবরণী ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে এই দ্বীপের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই বংশাবলী সমূহ হতে উত্তর ভারত থেকে সিংহলিদের আগমনের সময় থেকে ঐতিহাসিক বিবরণ পাওয়া যায়। দ্বীপটির আধুনিক ইতিহাস ৩য় শতাব্দীর সময়ে শুরু হয়েছে।এই ধারাবিবরণীগুলোতে খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে সিংহলিদের আদি পূর্বপুরুষদের দ্বারা তাম্বাপান্নি রাজ্যের প্রতিষ্ঠার সময়কাল থেকে শ্রীলংকার ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে অনুরাধাপুর রাজ্যের রাজা পান্ডুকাভায়াকে শ্রীলঙ্কার প্রথম শাসক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে আরহাথ মাহিন্দা (ভারতীয় সম্রাট অশোকের পুত্র) দ্বীপটিতে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তন করেন।
এই দ্বীপটি শুরুতে একীভূত থাকলেও পরের শতাব্দীতে বহু রাজ্যে বিভক্ত ছিল। তবে এটি চোল শাসনের অধীনে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য (খ্রিস্টাব্দ ৯৯৭-১০৭৭ এর মধ্যে) আবার একত্রিত হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা অনুরাধাপুরা থেকে ক্যান্ডি সময়কাল পর্যন্ত ১৮১ জন সম্রাট দ্বারা শাসিত হয়েছিল।
১৫৯৭-১৬৫৮ সালে দ্বীপের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পর্তুগিজ শাসনের অধীনে ছিল। তবে আশি বছরের যুদ্ধে ডাচদের হস্তক্ষেপের কারণে পর্তুগিজরা সিলনে স্থাপিত উপনিবেশ হতে সরে যায়। কান্দিয়ান যুদ্ধের পর ১৮১৫ সালে দ্বীপটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে একত্রিত হয়। তবে ঔপনিবেশিক শাসন শুরু হওয়ার সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ১৮১৮ সালে উভা বিদ্রোহ এবং ১৮৪৮ সালে মাতালে বিদ্রোহ নামক ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দুটি সশস্ত্র বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। অবশেষে ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতা লাভ করেছিল। তবে দেশটিতে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আধিপত্য ছিল।
সিরিমাভো বন্দরনায়েকের অধীনে সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬২ সালে একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। তবে সিরিমাভো সরকার সফলতার সাথে সে বিদ্রোহ দমন করে।
১৯৭২ সালে শ্রীলঙ্কা একটি প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা গ্রহণ করে। ১৯৭৮ সালে শ্রীলঙ্কা তার নিজস্ব সংবিধান প্রবর্তন করে। সংবিধান অনুসারে, নির্বাহী রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সংবিধান প্রণয়নের পাঁচ বছর পর ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তবে ১৯৭১ এবং ১৯৮৭ সালেও শ্রীলঙ্কায় দুটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে এলটিটিই এর পরাজয়ের মাধ্যমে ২৫ বছরের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ শেষ হয়েছিল।
যে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অগ্রসর অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কা, যেখানে মাথাপিছু জিডিপি চার হাজার ডলারের বেশি ছিল।শ্রীলঙ্কার ৯৫ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত, তাদের শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গণমুখী ছিল।শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যব্যবস্থাও দক্ষিণ এশিয়ার সেরা।
শ্রীলঙ্কার মূল সমস্যা
সেখানে শ্রীলঙ্কার মূল সমস্যা হলো তার বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ। কথিত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গত কয়েক বছরে চীনসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বাছবিচারহীনভাবে ঋণ নিয়েছে দেশটির সরকার।এতে দেশটির বন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও ঋণের ফাঁদে পড়ে যায় কলম্বো। বছর বছর ঋণের সুদ দিতে দিতে তলানিতে ঠেকেছে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
শ্রীলঙ্কার সরকারের ভরসা ছিল পর্যটন শিল্পের ওপর। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার উল্লেখযোগ্য অংশের যোগান দেয় পর্যটন খাত। তবে করোনা মহামারির কারণে সেখানেও মন্দা দেখা দেয়। ফলে পর্যটন খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার যোগান পায়নি দেশটি। তার ওপর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত কয়েক মাস ধরে বেড়ে যাওয়া তেলের দামের কারণে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশিরভাগ চলে যাচ্ছে তেল আমদানি করতেই।পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারও আর অবশিষ্ট নেই তাদের হাতে। জ্বালানির অভাবে পাওয়ার স্টেশন বন্ধ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং।
এদিকে রিজার্ভ কমে যাওয়ায় দেশটিতে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। গত সপ্তাহে দেশটিতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে আরও ৩৬ শতাংশ। এতে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়ে গেছে।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় অস্বাভাবিক় মূল্যস্ফীতি ও শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া ঘোষণার ফলে আন্দোলন । যার ফলে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং তার মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেও পদত্যাগের চাপে রয়েছেন। বর্তমানে দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বিরাজমান রয়েছে।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। মূলত ২০২০ সালে করোনা মহামারির জেরে বিপর্যয় আরও মারাত্মক হয়েছে। ওই সময় পশ্চিমা দেশগুলোতে কর্মরত অনেক শ্রীলঙ্কান কর্মী চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হন। দেশের মধ্যেও সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন অনেক গার্মেন্টস কারখানা, চা-বাগান বন্ধ হয়ে যায়। কাজ হারিয়ে ঘরে বেকার বসে থাকে লাখ লাখ শ্রমিক। বেড়ে যায় বেকারত্বের হার। মহামারিতে সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খায় সরকার। সংক্রমণের ধাক্কায় পর্যটন খাত বন্ধ হয়ে গেলে সংকট আরও তীব্র হয়। সব মিলিয়ে, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের মতো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতগুলো বড় ধরনের ধাক্কা খায়।
কেন এমন হলো
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ইন্দ্রজিত কুমারস্বামী বিবিসিকে বলেছেন, শ্রীলংকার এ সংকট হুট করে জন্ম হয়নি বরং এ সংকটের উৎসের দিকে তাকাতে হলে অনেক আগে ফিরে যেতে হবে সেই পঞ্চাশের দশকে।
তার মতে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে দেশটির অর্থনীতি কখনোই নিরাপদ থাকার মতো স্থিতিশীলতা পায়নি। গত কয়েক বছরে এর সাথে যোগ হয়েছে সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত।
“আমাদের কখনোই শৃঙ্খলাপূর্ণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা ছিলো না। এটাই অস্থিতিশীলতার ধারাবাহিক একটা উৎস ছিলো। এটা ছিলো জনতুষ্টিবাদী সস্তা রাজনীতি আর ভাগ বাটোয়ারা সংস্কৃতির একটা দূষিত সমন্বয়, যা আমাদের পেছনে ঠেলেছে। তবে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পর কিছুটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছিলো। যদি একইসাথে তখন আমাদের বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে”।
তিনি বলেন এর সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য ডিসিপ্লিনড হওয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু যা হয়েছে তা হলো নিয়মিত বার্ষিক বাজেট ঘাটতির কারণে রাজস্ব কমেছে নাটকীয়ভাবে। কমেছে রপ্তানি আর বেড়েছে ঘাটতি। তবে সমস্যাটা ব্যাপক বেড়েছে গত ১০-২০ বছরে”।
সর্বগ্রাসী দুর্নীতিকেই শ্রীলংকার বর্তমান পরিণতির মুল কারণ
সর্বগ্রাসী দুর্নীতিকেই শ্রীলংকার বর্তমান পরিণতির মুল কারণ হিসেবে বিবিসিকে বলেছেন সিলভারাইন ডি সিলভা, যিনি এক সময় ঢাকাতেও সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা এই দুর্নীতিকে রাজাপাকশা পরিবার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কারণেই দেশটির এই দশা।
“আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যা কিছু হয়েছে সবই ভুল। কলম্বো পোর্ট থেকে আরম্ভ করে হাম্বানটোটা বন্দর, এয়ারপোর্ট- এগুলো সবই ছিলো অর্থের অপচয়। বেশিরভাগ ঋণ এসেছে চীন থেকে। তারাই নির্মাণ করছে। এবং এখন তারা এগুলো করে যাচ্ছে।”
অথচ ২০০৯ সালে তামিল বিদ্রোহ দমনের সাফল্যে মহানায়ক হয়ে উঠছিলো তখনকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকশা। তখন প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন তার ভাই গোটাভায়া রাজাপাকশা।
দুই হাজার উনিশ সালের নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর তারা দুই ভাই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। পরিবার থেকেই আরও মন্ত্রী ও এমপিও রয়েছে।
সিলভারাইন ডি সিলভা বলছেন, রাজাপাকশা পরিবার প্রবল ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিলেন শুধু যুদ্ধের কারণেই নয়, বরং সত্যিকার অর্থেই তাদের ওপর ভরসা করেছিলো জনগণ।
তবে এ ভরসায় আস্থা না রেখে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করে কর্তৃত্বপরায়নতার দিকেই যাচ্ছিলেন মাহিন্দা রাজাপাকশা।
- দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অগ্রসর অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কা, যেখানে মাথাপিছু জিডিপি চার হাজার ডলারের বেশি।
- শ্রীলঙ্কান তামিল টাইগারদের ওপর সরকারি বাহিনীর বিজয়ের মাধ্যমে ১৯৮৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর বিশ্বের কাছে একুশ শতকের সফল অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ধারণ করছিল দেশটি।
- ওই গৃহযুদ্ধে একতরফা বিজয় অর্জনের সময় প্রায় ৪০ হাজার বেসামরিক তামিল জনগণকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি অভিযোগ উত্থাপন করে।
- যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং প্রতীচ্যের বেশির ভাগ দেশ শ্রীলঙ্কাকে ‘অস্পৃশ্য রাষ্ট্রের’ অবস্থানে নিয়ে যায়
- শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি কঠিন সংকটে ক্রমে তলিয়ে যায়
- নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সংঘবদ্ধ মজুতদারি এতই শক্তিশালী হয়ে উঠে
- অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে সৃষ্ট কৃত্রিম সংকট তদারকের জন্য একজন মিলিটারি জেনারেলের নেতৃত্বে ‘কন্ট্রোলার অব সিভিল সাপ্লাইজ’ নামের কঠোর নজরদারি সংস্থা গড়ে তুলেও অবস্থা সামাল দিতে পারেনিশ্রীলঙ্কা
- শ্রীলঙ্কান রুপির বৈদেশিক মান কিছুদিন আগেও ছিল ১ ডলারে ১৯০ রুপি, সেটা বেড়ে ২৩০ রুপিতে পৌঁছে যায়।
- বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে, অথচ আগামী এক বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সুদাসলে পরিশোধ করতেই হবে।
- শ্রীলঙ্কা নিজেকে ‘আর্থিক দেউলিয়া’ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।
২০১৯-২০২২ সালে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকট দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায় চলমান একটি অর্থনৈতিক সংকট, যার কারণে অভূতপূর্ব মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় সম্পূর্ণ নিঃশেষ, চিকিৎসা দ্রব্য সরবরাহে ঘাটতি এবং মৌলিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির মতো ঘটনাগুলির সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ছাড়াও, রাজাপাক্সা সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদের ব্যাপক অভিযোগ ছিল।শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব থেকে শিক্ষণীয় হলো, রাজাপক্ষে পরিবার ভোটের রাজনীতিকে যেভাবে ‘পারিবারিক একনায়কত্বে’ পর্যবসিত করে, একটা সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশকেও গভীর সংকটের গিরিখাদে নিক্ষেপ করেছে।