আহম্মদ আলী (১৪ এপ্রিল ১৯৩৫–১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯) বাংলাদেশের যিনি বাংলাদেশ শেষ জীবনে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত ছিলেন। পিতার নাম মরহুম তমিজউদ্দিন আহমেদ। দেশ বিভাগের পর তিনি মেহেরপুরের কাঁসারীপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৪ সালে ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী’র নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে চট্টগ্রামে ছাত্র-কর্মী শিবিবের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন। এই বছরই তিনি বি.এ পাশ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ শেষ বর্ষে অধ্যয়নকালে মওলানা ভাসানীর ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি’তে যোগদান করেন এবং সফলতার সাথে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৬৮-৬৯ সালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর (ন্যাপ) গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এসময় আইযুব বিরোধী গণ-আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৭১ সালে তিনি ভারতে চলে যান এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি মেহেরপুর বণিক সমিতির সভাপতি ছিলেন।
আহম্মদ আলী ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ১৯৮০ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৯ই ফেব্র“য়ারী ১৯৯৯ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তিনি এমপি হোষ্টেলে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লে ঢাকা ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হন। ৪ দিন অচৈতন্য থাকার পর তিনি ১৩ ফেব্র“য়ারী ১৯৯৯ শনিবার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।