ক্রিকেট প্রেমের শুরু ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি দিয়ে ।। হার জিৎ থাকবে কিনতু বাজে পারফর্ম পীড়াদায়ক ।।মাহমুদউল্লাহ প্রমান করেছে অভিজ্ঞতা কি
রুহুল কুদ্দুস টিটো
ক্রিকেট আমি ভালো বুিঝি না তবে সত্যি বলতে কি আমার ক্রিকেট প্রেম শুরু ১৯৯৭ রেডিওতে খেলা শুনে ।
বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা যেখানে যখন হয় তখন দেখা চাই । মাশরাফির টিম মোটিভেশন স্প্রিট আমাকে দারুন অনুপ্রানিত করে প্রচন্ড দেশ প্রেম দেশের পতাকার মর্যদার লড়াইয়ে আপোষহীন । আনুগত্য নিজের থেকে দলের প্রতি এবং দেশের প্রতি । তার জন্যই বলা চলে আমার ক্রিকেট প্রেমের গভীরতা। প্রেমের গভীরতার কারনে ক্রিকেটের ব্যার্থতায় কষ্ট পাই হার বা জিৎ এর জন্য নয় বাজে খেলার কারনে । আজও আমাদের অধিকাংশ ব্যাটসম্যান কোন বোলারের বলের কি গতি বুঝে ঠান্ডা ব্যাট খেলাতে পারেন বলে মনে হয়না বিপর্যয়ের সময়ে ধৈর্য ধরে রান নিতে হয় তা মাহম্মুদ উল্লাহ রিয়াদ দেখিয়েছেন।
আফগানরা বাংলাদেশের কাছে বিপর্যয়ের পর কি সুন্দর ক্রিকেট উপহার দিল ইংল্যান্ড কে হারিয়ে। ওদের বোলার ব্যাটসম্যানদের দারুন খেলার রিদম বলতে সকল প্রকার খেলার গ্রামার মেনেই খেলল আহা্ !
এ বিশ্বকাপে আমাদের অধিকাংশ ব্যাটসম্যান খেলার রিদম বুঝেন না বলে মনে হলো আমাকে রান ৪ বা ৬ মারতে হবে এখানেই যত বিপত্তি আমার মনে হয় একটা ব্যাট তো পড়েরটা পরে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দলে তাঁর জায়গাই হচ্ছিল না। তাঁকে ছাড়াই পরিকল্পনা করছিলেন কোচ চন্দিকা হাতুরেসিংহে এবং অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। প্রায় শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে জায়গা পেয়েছিলেন মাহমুদুল্লা রিয়াদ। অথচ সেই ৩৭ বছরের ব্যাটারের ব্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও মান বাঁচল শাকিবদের।
মঙ্গলবার ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেললেন রিয়াদ। এই নিয়ে বিশ্বকাপে তৃতীয় শতরান করলেন তিনি। এক দিনের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের শতরানের সংখ্যা ছয়। তার অর্ধেকই রিয়াদের। এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১টি চার এবং ৪টি ছয় দিয়ে সাজানো ইনিংসে রিয়াদ দেখিয়ে দিয়েছেন উইকেট কোনও জুজু ছিল না। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারের উইকেটে থাকার কোনও চেষ্টাই করেননি।
বিশ্বকাপে নিজের পছন্দের জায়গায় ব্যাট করার সুযোগ পাচ্ছেন না রিয়াদ। নামতে হচ্ছে ছয় নম্বরে। তবু এক মাত্র তিনিই ধারাবাহিক ভাবে রান পাচ্ছেন। ভারতের বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৬ রান। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে হয়নি তাঁকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন ১৮। অর্থাৎ প্রতিযোগিতা যত এগোচ্ছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটারের ব্যাটে তত রান ধরা দিচ্ছে।- আনন্দবাজার পত্রিকা
ক্রিকেট প্রেমের শুরু ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি দিয়ে
বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ, আর সেটাই ছিল কোন টেস্ট স্ট্যাটাসপ্রাপ্ত দলকে প্রথমবার হারানোর স্বাদ। সেই ম্যাচের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি মনে করেন ঐ জয়টা বাংলাদেশকে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিল।
তবে এর প্রেক্ষাপটটা আসলে আরও পেছনে। আর পাকিস্তানের সঙ্গে সেই জয়টাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় কিন্তু নয়, আর উদযাপন তো নয়ই!
নব্বই দশকে যাদের বেড়ে ওঠা তাদের অনেকেরই ক্রিকেট প্রেমের শুরু ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি দিয়ে। রেডিওতে খেলা শোনা, কেনিয়ার সাথে বাংলাদেশের ১ বলে ১ রানের উপাখ্যান, এরপর রঙিন উদযাপন, যে রঙের ছটা সারা দেশেই লেগেছিল!
সেই খেলা আশার আলো জাগিয়ে ছিল বাংলাদেশীদের প্রাণে ।হার জিৎ থাকবে কিনতু বাজে পারফরম পীড়াদায়ক ২০২৩ বিশ্বকাপের খেলায় বহু নাটকের নায়ক সাকিব অধিনায়ক নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে সচেতন দল নিয়ে কতটা সচেতন এ প্রশ্ন এসে যায়।
প্রশ্ন এসে যায় আপনা থেকেই ক্রিকেট বোর্ড কি দেখে অভিজ্ঞদের না নিয়ে সল্প অভিজ্ঞদের নির্বাচন করলেন বিশ্ব কাপ টিম ! দেশের সম্মান মর্যদা অর্জন করেছিলাম তা আজ কোথায় নামিয়ে আনা হলো তা বুঝি আপনাদের বিবেক কামড় দিচ্ছে না।
ছাব্বিশ বছর আগে বাংলাদেশের সেই আইসিসি ট্রফি জয় পথ তৈরি করে দেয় আজকের সাকিব-মুশফিকদের। ওরা আমাদের আজ কি দিচ্ছে !
এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিংয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তেমন কোনো ছাপ দেখা যায়নি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখনও পর্যন্ত সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ক্রিকেট খেলতে পারেনি।বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে নিচের দিকে অবস্থান করছে। মিডল অর্ডার একেবারেই পারফর্ম করতে পারছে না।
গত কালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৮২ রান তাড়া করতে নেমে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিণত হয় ৫ উইকেটে ৫৮।খুব দ্রুতই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রসঙ্গে শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে কথা উঠতেই হার্শা সবার আগে লিটন দাসের স্কোর সামনে টেনে আনেন, ‘তাদের সহজাত স্ট্রোক প্লেয়ার ৪৪ বলে ২২ রান করেছে। তিন শ-র অনেক বেশি রান তাড়া করতে নেমে ৪৪ বলে ২২ আপনাকে কোথাও নিয়ে যাবে না। এটা অনেকটাই রেসিং ট্র্যাকে হাঁটার মতো।’
ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের হার ঠেকাতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জয় যতটা সম্ভব বিলম্বিত করেছেন।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘এমন ফিনিশার রেখে কী হবে, যখন আপনার ৪০ রানেই ৪ উইকেট থাকে না? তখন তো ফিনিশার কিছু করতে পারবে না।’
মাহমুদউল্লাহর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে শতক চারটি, সব কটিই আইসিসির টুর্নামেন্টে। একটি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। গতকালের শতকসহ বাকি তিনটি বিশ্বকাপে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে শতক করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
সামনের দিন গুলোতে বেদনা দায়ক দৃশ্য হয়তো দেখতে হতে পারে
৩১ অক্টোবর | মঙ্গলবার | বাংলাদেশ-পাকিস্তান | দুপুর ২টা ৩০ মিনিট | কলকাতা |
৬ নভেম্বর | সোমবার | বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা | দুপুর ২টা ৩০ মিনিট | দিল্লি |
১১ নভেম্বর | শনিবার | বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া | সকাল ১১টা | পুনে |
মাহমুদউল্লাহ প্রমান করেছে অভিজ্ঞতা কি
মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ দলে থাকা না-থাকা নিয়ে কত নাটকই হলো! বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তাঁকে ঘিরে ছিল অনিশ্চয়তা। অথচ সেই মাহমুদউল্লাহই এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। এখন পর্যন্ত তিন ইনিংস খেলে তাঁর রানসংখ্যা ৪১*, ৪৬, ১১১।
নির্দ্বিধায় বলা যায় এই দলের সেরা ব্যাটসম্যান সেই। গত ছয় মাস সবাই যখন বিভিন্নভাবে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছিল এবং স্বপ্ন দেখছিল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার, মাহমুদউল্লাহ তখন নিজেকে প্রস্তুত করছিল সবার অলক্ষ্যে। ‘সাইলেন্ট কিলার’ই বটে! ওর কারও সঙ্গে কোনো যুদ্ধ নেই, যুদ্ধ শুধু নিজের সঙ্গেই। ‘হ্যাটস অফ টু ইউ’, মাহমুদউল্লাহ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ স্মিত হেসে বললেন, ‘কথা বলার সুযোগ পাইনি তো… বিশ্রাম মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। তবে আলহামদুলিল্লাহ। এটা তো আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা তাদের সিদ্ধান্ত, দলের সিদ্ধান্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট দলের জন্য যেটা ভালো মনে করেছেন, করেছেন।’
রিয়াদের কাছে মূলমন্ত্র একটাই- নিজের কাজটুকু ঠিকভাবে করা। তিনি জানান, ‘যেটা আগেই বললাম, আমার কাজ যদি আমি সততা দিয়ে করতে পারি, আমার জন্য সেটা যথেষ্ট, দলের জন্যও। এটাই সবসময় চেষ্টা ছিল এবং থাকবে।’
২০১৫ বিশ্বকাপে পরপর দুটি ম্যাচে শতক হাঁকিয়েছিলেন রিয়াদ। ৮ বছর পর বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়ে আরও একটি সেঞ্চুরি ২০২৩ সালে। রিয়াদের কাছে অবশ্য এই শতক তেমন দামি নয়, দল জিতেনি বলেন, ‘২০১৫-র কথা যদি বলি, ম্যাচ জিতেছিলাম। অবশ্যই ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। আজ আমরা হেরে গেছি। যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে আছে, দলের জন্য চেষ্টা করা বা রান করা। আমি এটাই করতে পারি।’
বাদ পড়ার আগে রিয়াদের স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথাই উঠেছিল। অথচ প্রচণ্ড চাপের মুখে ১১১ রানের ইনিংস খেলেছেন ১১১ বলে, তাও টেল এন্ডারদের সহায়তায়। তিনি বলেন, ‘স্ট্রাইক রেট উন্নতি করার চেষ্টা করছি ইনশাআল্লাহ দলের জন্য খেলতে চেয়েছি, অবদান রাখতে চেয়েছি। যতটুকুই পারি। জয়ের জন্য অবদান রাখতে পারলে আরও ভালো লাগবে। আল্লাহ আমাকে শক্তি দিয়েছেন চালিয়ে যাওয়ার। চেষ্টা করেছি ফিটনেস ঠিক রাখতে, কষ্ট করতে। এর বাইরে তো করার কিছু নেই।’