গায়েবি মামলা শব্দটি বিশ্বের কোনো দেশে ব্যবহৃত হয় না
গ্রেফতার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিমান্ড শুনানিতে আমির খসরু মাহমুদ বলেছেন, গায়েবি মামলা শব্দটি বিশ্বের কোনো দেশে ব্যবহৃত হয় না। গায়েবি মামলা ডিকশনারিতে নতুন শব্দ যোগ হয়েছে। অথচ বিরোধী দলের ৫০ লাখ মানুষ গায়েবি ও মিথ্যা মামলার শিকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাই এসব গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। যেখানে লাখো জনতার সমর্থন আছে, সেখানে আমরা কেন সহিংসতা করবে? যাদের জনসমর্থন নেই, জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারাই এ সহিংসতা করছে।
আজ শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল।
অন্যদিকে তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গুলশানের অন্য একটি বাসা থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে একপর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।
এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। এছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তথ্য সূত্র: যুগান্তর