জিমি কার্টারঃ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্মরণে জাতীয় শোক দিবস ও রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ঘোষণা
ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা কেন ফেরাবা বিভিন্ন সময়ে জিমি কার্টারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে তাঁর সময় থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য আর গণতন্ত্র নিয়ে তাঁর কাজ নিয়ে। এই প্রতিবেদন সাক্ষাৎকারগুলোর উল্লেখযোগ্য দিক নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। তিনি রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ১০০ বছর ব বয়সে মারা যান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন কার্টারের সম্মানে ৯ জানুয়ারি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হবে। একই দিনে তিনি কার্টারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাইডেন কার্টারের সম্মানে সকল সরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা ৩০ দিন অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কার্টার চীনা বাদামের চাষ করতেন এবং জর্জিয়া রাজ্যের গভর্নর ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালের ২০ জানুয়ারি যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন, তখন তিনি “দেশের মানুষের মতই ভাল সরকার” দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ক্ষমতায় তাঁর চার বছর ছিল ঘটনাবহুল এবং অশান্ত। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বেকারত্ব তাঁর প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কর্মসূচী ব্যাহত করে। পররাষ্ট্রনীতিতে তিনি সফলতার মুখ দেখেন – মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি চুক্তি এবং পানামা খাল চুক্তির মাধ্যমে। কিন্তু হোয়াইট হাউসে তাঁর শেষ বছর জুড়ে ছিল ইরানে জিম্মি সঙ্কট, যা ১৯৮০ সালের নির্বাচনে তাঁর পরাজয়ে অবদান রাখে।
তবে কার্টার বলতে পছন্দ করতেন যে, ১৯৮১ সালে তাঁর শাসনামলের শেষ ছিল নতুন এক জীবনের শুরু, যখন তিনি সারা বিশ্ব ভ্রমণ করে “রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, আশার সঞ্চার করেছেন এবং শান্তির পক্ষে কাজ করেছেন।”
কার্টার সেন্টারের প্রধান হিসেবে কার্টার দম্পতি ৮০টির বেশি দেশে ভ্রমণ করেছেন, যেখানে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন, সঙ্কটে মধ্যস্থতা করেছেন এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর এই সক্রিয় জীবনের ফলে তিনি ২০০২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
“আমি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে কাজ করার চেষ্টা করেছি, কার্টার সেন্টারের কাজকে সেটার অংশ হিসেবেই দেখতে চাই। যেমন, আমরা মিশর এবং ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি নিয়ে আসি। আমরা পানামা খাল চুক্তির মাধ্যমে লাতিন আমেরিকার সাথে বিশাল সম্পর্কের সূচনা করি,” তিনি বলেন।
“কাজেই, এর পর আমি যা করেছি তা সব সেকাজেরই সম্প্রসার। তবে এ’নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, আমি যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলাম, সেটা ছিল কার্টার সেন্টারের কাজের জন্য। কাজেই, মানবাধিকার এবং শান্তির উপর ভিত্তি করে আমার ইতিহাস রচিত হলে আমি পুরোপুরি খুশি হবো। মানে, কে হবে না?”
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস “আন্তর্জাতিক শান্তি এবং মানবাধিকারের প্রতি কার্টারের অঙ্গীকারের” প্রশংসা করেন।
“প্রেসিডেন্ট কার্টারকে স্মরণ করা হবে দুর্বলের প্রতি তাঁর সংহতির জন্য, তাঁর সার্বক্ষণিক অনুগ্রহ এবং আমাদের মানবিকতার উপর তাঁর নিরলস আস্থার জন্য,” গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন। “একজন শান্তিস্থাপক এবং মানবাধিকার প্রচারক হিসেবে তাঁর কর্ম টিকে থাকবে।”
বাইডেনের প্রিয় বন্ধু
হোয়াইট হাউস রবিরার প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন-এর তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, “বিগত ছয় দশক ধরে জিমি কার্টারকে প্রিয় বন্ধু ডাকার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছিল। কিন্তু জিমি কার্টার সম্পর্কে যেটা অসাধারণ, তা হলো, আমেরিকা এবং গোটা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে, যাদের সাথে তাঁর কোনদিন দেখা হয়নি, তারাও তাঁকে প্রিয় বন্ধু হিসেবেই গণ্য করে।”
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করেনঃ “প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিমি যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন, তা ছিল আমাদের দেশের জন্য এক কঠিন সময়ে, এবং তিনি আমেরিকানদের জীবন উন্নত করার জন্য তাঁর সাধ্যমত সবই করেছেন। সেজন্য, তাঁর প্রতি আমাদের সবার কৃতজ্ঞতার ঋণ রয়েছে।”
হোয়াইট হাউসের উদ্দেশ্যে কার্টারের যাত্রা শুরু হয় জর্জিয়ার ছোট শহর প্লেইন্স-এ, যেখানে ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর তাঁর জন্ম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর কার্টার ১৯৫৩ সালে চীনা বাদামের পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনার জন্য তাঁর জন্মের শহরে ফিরে আসেন।
তিনি ১৯৬০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং জর্জিয়ার আইনসভায় দুই মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত রাজ্যের ৭৬তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কার্টার ১৯৭৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট ফোর্ড ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগের পর থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কার্টার স্বল্প ব্যবধানে ফোর্ডকে পরাজিত করেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টারের উল্লেখযোগ্য সময় আসে ১৯৭৮ সালে। কার্টার মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিনকে একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মেরিল্যান্ডে প্রেসিডেন্টের বাগানবাড়ি ক্যাম্প ডেভিড-এ নিয়ে আসেন।
“আমি যখন প্রেসিডেন্ট হলাম, ততদিনে আরব এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে ২৫ বছরে চারটি যুদ্ধ হয়েছে, যার নেতৃত্বে ছিল সোভিয়েত-সমর্থিত মিশর,” তিনি বলেন। “তারাই ছিল একমাত্র দেশ যারা সামরিক ভাবে ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ করতে পারতো। এবং আমরা ইসরায়েল আর মিশরের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সাক্ষর করাতে সফল হই – যার একটি অক্ষরও লঙ্ঘন করা হয় নাই।”
কার্টার আলোচনার মাধ্যমে পানামা খালের মালিকানা পানামার সরকারের হাতে তুলে দিয়ে একটি চুক্তি সাক্ষর করেন, এবং তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
কিন্তু ১৯৭৯ সালে কার্টার প্রশাসনের মূল মনোযোগ যায় ইরানের দিকে, যেখানে ধর্মীয় নেতৃত্বে এক বিপ্লবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ-এর সরকারের পতন হয়। শাহ অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান, যেখানে তিনি ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
শাহকে আশ্রয় দেয়ার জন্য ক্ষিপ্ত অ্যাক্টিভিস্টরা ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আক্রমণ করে এবং ৬৬জন আমেরিকানকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। কয়েক সপ্তাহ পর ১৩জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সঙ্কট শুরুর পাঁচ মাস পর ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে কার্টার বাকি জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য একটি জটিল সামরিক অভিযান অনুমোদন করেন। অপারেশন ঈগল ক্ল নামের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইরানের মরুভূমিতে কয়েকটি সামরিক হেলিকপ্টার এবং বিমানের সমাগম হওয়ার কথা ছিল।
কার্টার, যিনি পরিকল্পনা অনুমোদন করেন, ভিওএ-র সাথে সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা করে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী ডেল্টা ফোর্স-এর সদস্যদের নিয়ে হেলিকপ্টারগুলো মরুভূমি থেকে তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যাবে, জিম্মিদের মুক্ত করবে এবং মরুভূমির সমাগমস্থলে ফিরে যাবে, যেখানে সামরিক পরিবহন বিমান তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে।
“অন্তত ছয়টি খুব বড় হেলিকপ্টারের প্রয়োজন ছিল। কাজেই, আমি আটটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। হেলিকপ্টারগুলোর একটি কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ঘুরে বিমানবাহী জাহাজে ফিরে যায়। আরেকটি ইরানের মরুভূমিতে এক বালুঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। তৃতীয় হেলিকপ্টারের হাইড্রলিক সিস্টেমে লিক হয় এবং একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমানের সাথে ধাক্কা খায়,” তিনি বলেন।
কার্টারের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত
বাতিল করা এই মিশন ব্যর্থ হয়। দুর্ঘটনার কারণে আটজন আমেরিকান সেনাসদস্য এবং একজন ইরানি বেসামরিক ব্যক্তি মারা যায়। কার্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াল্টার মন্ডাল ভিওএ-কে বলেন, সেদিন ছিল তাদের প্রশাসনের জন্য সবচেয়ে নিচু পর্যায়।
“যখন সেই উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয় এবং মানুষ মারা যায়। সেটা ছিল একদম … সেদিন আমরা বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি এবং তারপর বেশ কিছু সময় ধরে,” মন্ডাল বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইরাস ভ্যান্স প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন।
এই অভিযানের ব্যর্থতা আমেরিকার জনগণের কাছে কার্টারের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ঘটনা ঘটে ১৯৮০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাত মাস আগে, এবং তা রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রনাল্ড রেগানের কাছে কার্টারের পরাজয়ে অবদান রাখে।
“নির্বাচনের দিন ছিল জিম্মিদের আটক করার বার্ষিকী,” কার্টার বলেন। “সংবাদ মাধ্যম অবশ্যই জিম্মিদের আটক হওয়ার বার্ষিকী নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত ছিল, বিশেষ করে আমি যে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে পারি নাই, সে বিষয়ে। এটাই ছিল এক নম্বর ইস্যু, যার কারণে আমি ব্যর্থ হই।”
যেদিন রেগান প্রেসিডেন্ট হন, সেদিন জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়।
কার্টার ১৯৮১ সালে প্লেইন্স-এ ফিরে আসেন, তখনো প্রেসিডেন্ট-পরবর্তী সময়ে কী করবেন তা অনিশ্চিত। স্বল্প আকারে একটি গ্রন্থাগার এবং জাদুঘর নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা ছিল।
“আমার ভাবনায় এটা ছিল খুব ছোট একটি জিনিস, যেখানে আমার একটি অফিস থাকবে এবং আটলান্টা শহরে কিছু সুন্দর ভবন। এবং, বিশ্বে যে কেউ, যারা একটি সংঘাতের মধ্যে আছে বা সংঘাত বাধতে পারে, এমন যে কেউ আমার কাছে আসতে পারে, এবং আমি মধ্যস্থতার মাধ্যমে যুদ্ধ থামাতে সাহায্য করবো,” তিনি বলেন।
কার্টার সেন্টারের সাফল্য
তাঁর পরিচালনায় কার্টার সেন্টার ৮০টিরও বেশি সমস্যা-জর্জরিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে এবং বিতর্ক বা বিবাদে মধ্যস্থতা করে। এগুলোর মধ্যে ছিল ১৯৯৪ সালে উত্তর কোরিয়ার সাথে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সঙ্কট থেকে ১৯৯৯ সালে সুদান এবং ইথিওপিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি।
বিশ্বের সবচেয়ে গরীব অঞ্চলগুলোতে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই-এ কার্টার সেন্টার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে তাঁর অনেক সাক্ষাৎকারের একটিতে কার্টার হোয়াইট হাউসের ভেতরে এবং বাইরে তাঁর জীবনের উপর আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর অর্জন বা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া তাঁর ইতিহাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক নয়। গিনি ওয়রম রোগ নির্মূল করাই তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান, তিনি বলেন।
“মানবজাতির ইতিহাসে শুধুমাত্র একটি রোগই নির্মূল করা হয়েছে এবং সেটা হচ্ছে স্মল পক্স,” তিনি বলেন। “গিনি ওয়রম রোগ শীঘ্রই হবে ইতিহাসের দ্বিতীয় রোগ যা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে।”
কার্টারের প্রচেষ্টার কারণে, ২০২২ সালে গিনি ওয়রম রোগের মাত্র ১৩টি কেস পাওয়া যায়।
কার্টার ৯৯ বছর বয়স পর্যন্ত সক্রিয় জীবন যাপন করছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে ব্রেন ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠেন।
অবনতিশীল স্বাস্থ্য এবং ২০২০ সালের কোভিড মহামারি কার্টারকে তাঁর শেষ বছরগুলোতে প্লেইন্সে তাঁর নিজ বাসভবনে সীমাবদ্ধ রাখে।
জিমি কার্টার শেষ বার জনসমক্ষে আসেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে, তাঁর স্ত্রী রজালিনের শেষকৃত্যের জন্য।
তথ্যসূত্র: ভোয়া