প্রতারণা
প্রতারণা হচ্ছে অসদুপায় অবলম্বন করে কোন কিছু সমাধানের সক্ষমতার কারণে পুরস্কার গ্রহণ করা। সাধারণত প্রতারণা করা হয় আইন অমান্য করে, যাতে প্রতিযোগিতা মুলক পরিস্থিতিতে অসম সুবিধা পাওয়া যায়। এর বিশদ সংজ্ঞার পরিধিতে ঘুষ, ক্রোনিজম, নেপোটিজম, স্লিইজ এবং অন্য যেকোনো পরিস্থিতি যেখানে অবৈধভাবে অন্যকে সুযোগ দেয়া হয় ইত্যাদি সবকিছুই যুক্ত। এগুলো স্পষ্টত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে অথবা এই সব আচরণবিধি গুলো অলিখিতও হতে পারে যার ভিত্তি নৈতিকতা, নীতিশাস্ত্র অথবা প্রথা, যা এর শনাক্তকরণকে বিষয় ভিত্তিক প্রক্রিয়া করে ফেলেছে। প্রতারণা বিশেষভাবে নির্দেশ করতে পারে বৈবাহিক অবিশ্বাসকে। যে প্রতারণা করে, অর্থাৎ প্রতারককে ব্রিটিশ ইংরেজিতে “cheat” এবং আমেরিকান ইংরেজিতে “cheater” বলা হয়। একজন প্রতারক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি সব সময় প্রতারণা করে না, বরং নির্ভর করে অন্যায্য কার্যকলাপ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপর।
প্রতারণা
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চবিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়ন বিষয়ক প্রতারণা একটি খুবই সাধারণ বিষয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৭০ ভাগ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়গুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় গুরুতর প্রতারণার সাথে জড়িত। ৬০ ভাগ বলে তারা অন্যান্যদের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দিয়েছে। যদিও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন উচ্চবিদ্যালয়গুলোর শুধুমাত্র ৫০ ভাগ ছাত্রছাত্রীরা এই বিষয় স্বীকার করে। এই সংবাদটি ২০০৫ সালে রুটগারস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডোনাল্ড ম্যাকক্যাব একাডেমিক অখণ্ডতা কেন্দ্রের জন্য করেন। তথ্যগুলো একটি গেলাপ জরিপ এর মাধ্যমে পাওয়া যায়।
২০০১ সালে ম্যাকক্যাবের জরিপকৃত ৪৫০০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৭৪ ভাগ পরীক্ষাতে প্রতারণা, ৭২ ভাগ লিখিত কাজে প্রতারণা এবং ৯৭ ভাগ জানায় তারা অন্য কারো বাড়ির কাজ বা পরীক্ষার খাতা থেকে দেখেছে। এক-তৃতীয়াংশ পুনঃপ্রতারণার কথা স্বীকার করেছে।” উচ্চ প্রযুক্তির বিপ্লব প্রতারণাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অনলাইন টার্ম পেপার মিল গুলো যেকোনো বিষয়ের উপর লেখা বিক্রয় করে থাকে, যেকোনো ধরনের বাসারকাজ অথবা ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে,[৪] ক্যামেরা, মুঠোফোন ব্যবহার করা হয় পরীক্ষায় চিত্র আদানপ্রদানের জন্য, এমপি৩ প্লেয়ারগুলো ডিজিটালনোট ধরে রাখতে পারে, গণিতের সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রাফিং গণকযন্ত্রগুলো সুত্র সংরক্ষণ করতে পারে; যদিও এই বিষয়গুলো অথবা ওয়েবসাইটগুলোর কথা শিক্ষকদের জানা আছে।
প্রশিক্ষণেও প্রতারণা হতে পারে। খুবই সাধারণ একটি প্রকার হচ্ছে খেলোয়াড় বাছাইকরণ প্রক্রিয়াতে ঘুষ ও উপঢৌকনের ব্যবহার। এর চর্চা পুরো ক্রীড়া জগতেই রয়েছে বিশেষ করে মহাবিদ্যালয় খেলার খেলোয়াড় সংগ্রহ প্রক্রিয়াতে। পাতানো খেলা এবং জুয়ার মাধ্যমে কোন একটি সংগঠনের সাথে প্রশিক্ষণের প্রতারণা একটি খুবই সাধারণ বিষয়।
জুয়া খেলা একটি ঘটনাতে টাকার বাজির পরিমাণ সরাসরি প্রতিযোগীদের সাথে খেলাতে অংশগ্রহণ না করেও প্রতারণার ইচ্ছাকে বাড়িয়ে দেয়। খেলা অথবা গেমে, জুয়া খেলাতে প্রতারণা বলতে সাধারনণ সরাসরি আইন অথবা নীতি অমান্য অথবা যেই ঘটনার উপর বাজি ধরা হয়েছে তার ভুল প্রকাশ অথবা ফলাফলে হস্তক্ষেপ করাকে বোঝায়।
ভিডিও গেমসে প্রতারণা হতে পারে গোপন কোডের মাধ্যমে যেখানে একক খেলোয়াড় গেমসে থাকে যেমন (যেমন কনামি কোড[) যা একজন খেলোয়াড়ের প্রবেশের সময় বোনাস দিয়ে দেয়, হ্যাক এবং অন্যান্য কাজ একজন খেলোয়াড়কে মাল্টিপ্লেয়ার অথবা এককপ্লেয়ার গেমসে অনেক অসম সুবিধা প্রদান করে অথবা অনলাইন খেলাতে অন্যায় চুক্তি (যেমন দর্শক খেলোয়াড়ের সীমানা সরিয়ে দেয়া এবং বিপরীত পক্ষকে শত্রুদলের চলাচল বলে দেয়া) সৃষ্টি করে।
ইভিএম প্রতারণা
- ইভিএমের মূল সমস্যা হলো কেন্দ্রীয় ফলাফল তৈরি করা হয় হাতে লিখে।
- ইভিএমের প্রোগ্রামিং প্রভাবিত করলে নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে।
- ভোডাফোনের (নেদারল্যান্ডস) সিনিয়র সল্যুশন আর্কিটেক্ট ফয়েজ আহমদ তৈয়ব। তিনি বলেন, ইভিএমের মূল সমস্যা হলো কেন্দ্রীয় ফলাফল তৈরি করা হয় হাতে লিখে। এখানে পেপার ট্রেইল (ভোটার কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন, তা ছাপা হয়ে বের হওয়া) নেই। এতে কারসাজির সুযোগ থাকে।
- ভোটের দিন স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স এজেন্টদের দেখানোর বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু ইভিএমে অডিট কার্ডে (ভোট দেওয়ার পর যেখানে তথ্য সংরক্ষিত থাকে) আগে থেকেই কোনো ফলাফল রেকর্ড করা আছে কি না, তা যাচাই করার ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, ইভিএমের প্রোগ্রামিং প্রভাবিত করলে নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে।ফলে ইভিএমে ভোট প্রতারণা হতে পারে।
বর্তমান সময়ে জীবন চলার প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষ কম-বেশি ধোকা বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য এমন কোনো ক্ষেত্র বাদ নেই, যেখানে ধোকা বা প্রতারণা চলে না।
যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়
‘একদিন স্তূপ করে রাখা খাদ্যশস্যের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি স্তূপের ভেতর হাত প্রবেশ করালে আঙুলগুলো ভিজে গেল। স্তূপের মালিককে জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কী? মালিক জবাব দিল, হে আল্লাহর রাসুল! বৃষ্টির পানিতে তা ভিজে গিয়েছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তবে তা ওপরে রাখলে না কেন, যেন মানুষ তা দেখতে পায়? যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১০১)
নৈতিকতা প্রসঙ্গ
নৈতিকতা (ইংরেজি: Morality), যার অর্থ হলো ভদ্রতা, চরিত্র, উত্তম আচরণ। এটি মূলত উদ্দেশ্য,সিদ্ধান্ত এবং কর্মের মধ্যকার ভালো-খারাপ,উচিত-অনুচিত এর পার্থক্যকারী।
নৈতিকতা হলো কোনো মানদন্ড বা নীতিমালা যা নির্দিষ্ট কোন আদর্শ, ধর্ম বা সংস্কৃতি থেকে আসতে পারে। আবার এটি সেসকল বিষয় হতেও আসতে পারে যেসকল বিষয়কে সমগ্র মানুষ কল্যাণকর হিসেবে আখ্যায়িত করে। নৈতিকতাকে “সঠিকতা” বা “ন্যায্যতা”-ও বলা যায়।
নৈতিকতার আদর্শে পরানীতিবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত থাকে যেখানে নৈতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ, উক্তি, প্রবণতা এবং বিচারের প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা-বিশ্লেষণ করা হয়। নৈতিকতার একটি আদর্শ উদাহরণ হলোঃ “আমাদের উচিত অন্যের সাথে সেভাবেই আচরণ করা যেমনটা আমরা নিজেরা অন্যের থেকে আশা করব।”
অপরদিকে, অনৈতিকতা হলো নৈতিকতারই সম্পূর্ণ বিপরীত। যা অসচেতনতা, অবিশ্বাস, উদাসীনতারই বহিঃপ্রকাশ।
নৈতিকতার মাধ্যমে ভদ্রতা, নম্রতা, ভালো চরিত্র, ভালো আচরণ প্রকাশ পায়। এটি একটি বিশেষ গুণ যা সকলের মাঝে বিদ্যমান থাকে না, এটা অর্জন করে নিতে হয়। যার মধ্যে এই বিশেষ গুণ আছে সে সমাজের জন্য কল্যাণকর।
নৈতিক চেতনা মানুষকে ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যকার পার্থক্য
বৃঝতে সহায়তা করে যা মূলত চিন্তাপ্রসূত, সামাজিক, সক্রিয়, বাধ্যবাধকতামূলক, ভাবাবেগমূলক
ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যমন্ডিত ।
নৈতিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ যখন একটি পরম লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হয় তখন তাকে বলা হয় নৈতিক
আদর্শ। আবার জীবনের পূর্ণতা অর্জনের জন্যে মানুষ যখন পরম লক্ষ্যের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়
তখন তাকে বলা হয় নৈতিক প্রগতি ।
মানুষ নৈতিক আদর্শের বলে বলীয়ান হয়ে যখন নৈতিক প্রগতির দিকে ধাবিত হয় তখন তার
কতকগুলো সদগুণ থাকতে হয় যেগুলো মানুষের নৈতিক অধিকার ও কর্তব্যের বন্ধনে যুগবদ্ধ থাকে।
নৈতিক পার্থক্যবোধ ও এ সম্পর্কিত বিষয়সমূহ নৈতিক চেতনার চিন্তামূলক
উপাদান
১. ভালমন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ সম্পর্কিত নৈতিক বিচার। এটি আচরণের উচিত-অনুচিতের বোধকে
নির্দেশ করে । যথাযথ কাজ কোনটি তা বুঝতে অনুচিত কাজ কোনটি তা বুঝা দরকার।
২. আত্মসচেতন ও আত্য্রনিয়ন্ত্রণশীল সত্তা । মানুষ যে ইচ্ছাপ্রসূত কার্যাবলী ও অভ্যাসজাত কার্যাবলী
সম্পাদন করে তা করার জন্যে তার নৈতিক বিচারে আত্মসচেতনতা থাকতে হবে ।
৩. কোন একটি আদর্শের চেতনা যে আদর্শ ন্যায়-অন্যায় ভালমন্দের মধ্যে পার্থক্য জ্ঞাপন করে।
৪. কল্যাণের ধারণা নৈতিক আদর্শ সম্পর্কে সুষ্ঠু মতবাদ গঠনে সাহায্য করে ।
৫. নৈতিক বিচার যথোচিত ও অনুচিত বিষয়ের মধ্যে পার্থক্যবোধের নির্দেশ দেয়।
৬. উচিত ও অনুচিত ধারণা আমাদের মনে কর্তব্যবোধ সৃষ্টি করে । যে কাজকে আমরা উচিত বলে
মনে করি সে কাজ সম্পাদন করার একটা তাগিদ অনুভব করি, আবার যে কাজকে আমরা অনুচিত
বলে মনে করি সে কাজ সম্পাদন করার তাগিদ অনুভব করি না।
৭. কর্তব্যবোধের সাথে অধিকারের প্রশ্নও জড়িত । একজনের যা কর্তব্য অন্যের তা অধিকার।
৮. উৎকর্ষ ও অপকর্ষের চেতনা এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য। কারণ যে ব্যক্তি কর্তব্যপরায়ণ তাকে আমরা
প্রশংসা করি ; আর যে ব্যক্তি কর্তব্য কাজে কর্তব্যপরায়ণ নয় তাকে আমরা নিন্দা করি।
৯. দায়িত্ববোধের চেতনাও বিবেচ্য। বিচারশক্তিসম্পন্ন মানুষ তার ইচ্ছাকৃত ও অভ্যাসপ্রসূত কাজের
জন্যে দায়ী।
১০. ধর্ম ও অধর্মের চেতনা এ ক্ষেত্রে অন্যতম মানদন্ড বলে মনে করা যায়।
নীতি বিদ্যা হলো দর্শনের সেই শাখা যেখানে নৈতিকতা সম্বন্ধীয় প্রশ্ন করা হয়।নীতি শব্দটি নৈতিকতারই সমার্থক শব্দ।অর্থাৎ নীতিবিদ্যা দ্বারা নৈতিকতা সম্পর্কিত জ্ঞান বা বিদ্যাকে বোঝায়।ও নৈতিকতা যার অথ ভদ্রতা চরিএ উওম আচারণ। এটি মূলত উদ্দেশ্য সিদ্ধান্ত এবং কমের মধ্যকার ভালো খারাপ উচিত-অনুচিত এর পাথক্যকারী। নৈতিকতা হলো কোনো মানদণ্ড বা নীতিমালা যা নিদিষ্ট কোন আদশঁ ধম্ বা সংস্কৃতি থেকে আসতে পারে।
আধুনিক নৈতিক মনোবিজ্ঞানে, নৈতিকতা ব্যক্তিগত বিকাশের মাধ্যমে পরিবর্তন হিসাবে বিবেচিত হয়। নৈতিকতার বিভিন্ন ধারার উপর গবেষণা করে কয়েকজন মনোবিজ্ঞানী নৈতিকতার বিকাশের উপর বিভিন্ন তত্ত্ব প্রদান করেছেন। লরেন্স কোহলবার্গ, জিন পিয়াগেট এবং এলিয়ট টুরিয়াল নৈতিক বিকাশ ও জ্ঞানীয়-বিকাশ নিয়ে কাজ করেছেন; এই তাত্ত্বিকদের মতে নৈতিকতা কতগুলো গঠনমূলক ডোমেইনের ধারায় অবস্থান করে। ক্যারল গিলিগান প্রতিষ্ঠিত যত্নের নীতি পদ্ধতির ক্ষেত্রে, নৈতিক বিকাশ যত্নশীল, পারস্পরিক প্রতিক্রিয়াশীল সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে ঘটে যা আন্তঃনির্ভরশীলতার উপর ভিত্তি করে বিশেষত পিতামাতার ক্ষেত্রেও সাধারণত সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। মার্টিন হফম্যান এবং জনাথন হ্যাডের মতো সামাজিক মনোবিজ্ঞানীরা সহানুভূতির মতো জীববিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সামাজিক এবং মানসিক বিকাশের উপর জোর দেন। নৈতিক পরিচয় তাত্ত্বিকরা, যেমন উইলিয়াম ড্যামন এবং মুরডেচাই নিসান নৈতিক প্রতিশ্রুতিটিকে নৈতিক উদ্দেশ্য দ্বারা সংজ্ঞায়িত একটি স্ব-পরিচয়ের বিকাশ থেকে উদ্ভূত হিসাবে দেখেন: এই নৈতিক আত্ম-পরিচয় এই জাতীয় উদ্দেশ্যগুলি অনুসরণ করার দায়বদ্ধতার অনুভূতি বাড়ে। মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে (historical) ঐতিহাসিক আগ্রহের মধ্যে রয়েছে সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতো মনোবিজ্ঞানীদের তত্ত্ব, যারা বিশ্বাস করেন যে নৈতিক বিকাশকে অপরাধ-লজ্জা পরিহার হিসাবে অতি-অহংকারের দিকগুলির ফসল বলে মনে হয়।
দুর্বলের বল রাজা, শিশুর বল কান্না, মূর্খের বল নীরবতা, চোরের বল মিথ্যা- চানক্য
সমাজে নৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠান এবং অভ্যাসের মধ্যে বিরোধিতা দেখা দিলে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে। এ সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা করার ফলে নৈতিক আদর্শ,সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও অভ্যাসের মধ্যে পরিবর্তন সাধিত হয় এবং নৈতিক উন্নতির পথ সুগম হয়। তাই নৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে নৈতিক জগতের অভ্যন্তরীণ বিরোধিতার মধ্যে সমন্বয় সাধনের গুরুত্ব রয়েছে।
নৈতিক জগত ও এর অভ্যন্তরীণ বিরোধিতাই নৈতিক প্রগতির জন্যে যথেষ্ট শর্ত নয়,অপূর্ণতা বোধও এক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। নৈতিকতার ধারণা সম্পর্কে যখন আমাদের চেতনা অসম্পূর্ণ থাকে, তখন কোন নৈতিক সংস্কারের শিক্ষার ফলে আমরা সচেতন হই এবং নৈতিক প্রগতি সাধিত হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া/ প্রথমআলো