বড় হারের পরও এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন সাকিব
আলাপচরিতা
ভারতের ধর্মশালায় টস হেরে ৩৬৪ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। টাগের্ট তাড়ায় ৪৯ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ।শুরু থেকে ইংরেজদের বিধ্বংসী মারকুটে ব্যাটিংয়ের কারণেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান শুরুতে কিছুটা ধুঁকলেও সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের বোলাদের শাসন করেছেন। বাংলাদেশকে মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে ইংল্যান্ডের বিস্ফোরক ব্যাটিং। ওদের টপঅর্ডার অসাধারণ ব্যাট করেছে। যখন ৩৫০ এর বেশি রান হয়ে গেছে তখনই বাংলাদেশের সম্ভাবনা কমে গিয়েছিল।
সাকিব বলেন, ‘বিশ্বকাপ লম্বা একটা টুর্নামেন্ট। আমাদের সামনে আরও ৭টি ম্যাচ আছে। আজকের এই হারের পর আমাদের ভেঙে পড়লে চলবে না। আজকের ম্যাচের ইতিবাচক বিষয়গুলো খুঁজে নিয়ে সামনের ম্যাচগুলোতে ঝাঁপাতে হবে।’
ম্যাচ শেষে সাকিব টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর ব্যাপারটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘টসে জিতেছিলাম। আজকের আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা ছিল। আগের রাতে বৃষ্টির কারণেই হয়তো। আমাদের বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। ইংল্যান্ড এমন একটা দল, যাদের একটু সুযোগ দিলেই আপনার ওপর চেপে বসবে। যদিও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। ’
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত কোনও একটা স্টেডিয়ামে যদি কোনও দল পরপর দুটো ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় তারা হল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এবার হায়দরাবাদটা যেমন পাকিস্তানে অলিখিত ঘরের মাঠ। সেইরকমই বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্য়াচটা ধর্মশালায় খেলল বাংলাদেশ।
প্রথম ম্য়াচে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু হারই নয়, লজ্জাজনকভাবে হারল তারা। ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানে হারল সাকিব আল হাসানরা। দলে অতিরিক্ত বোলার খেলিয়েও ইংল্যান্ডকে কম রানে আটকে রাখতে পারল না।
ম্য়াচে সাকিব আল হাসান মোট ৬ জন বোলার খেলিয়েছিলেন। বসিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হল না। ৬ বোলার খেলালেও তাঁরা শুরুটা খারাপ করলেন। যখন বাংলাদেশের বোলাররা ম্য়াচের হাল ধরলেন ততক্ষণে ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে হাত থেকে।
সাকিবও সেই কথাটাই স্বীকার করে নিলেন। ম্যাচের পর সাকিব বলেন, ‘টস জিতে ভালোই লেগেছে, গতরাতে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিল। পেসার জন্য় পিচে বেশ সাহায্য ছিল তবে আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। যখন তুমি ওদের একটা সুযোগ দেবে, তখনই ওরা আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘাড়ে চেপে বসবে। আমরা শেষ ১০ ওভারে ভালো করেছি তবে ৩৫০ রান তাড়া করা সবসময় কঠিন।’
বোলাররা যেমন শুরুটা খারাপ করেছিলেন সেই রকম খারাপ শুরু করেছিলেন ব্যাটাররাও। লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম বাদে আর কেউ রান পাননি। সাকিব আল হাসান নিজে করেন মাত্র ১ রান, তাও ৯ বল খেলে। এই বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘আমরা সঠিক পরিকল্পনা করেছিলাম, তবে আমরা সেটাকে বাস্তবায়িত করতে পারিনি।
বল দারুণ স্যুইং করছিল, সঠিক জায়গায় রাখতে হত। ওরা একবার যখন ধারাবাহিকতা ধরে ফেলেছিল তখন ওদের আটকানো কঠিন ছিল। আমি মনে করি ওরা যেই জায়গায় ছিল, তাতে ওরা ৩৮০-৩৯০ রান করতে পারত, আমরা ওদের আটকাতে পেরেছি। তবে আমি মনে করি এখানে রান তাড়া করার জন্য ৩২০টা ঠিকঠাক।
চেন্নাইতে আমাদের কঠিন লড়াই আসতে চলেছে, নিউ জিল্যান্ড বর্তমানে ভালো খেলছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, সঠিক জিনিস করতে হবে এবং একটা করে ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে।’
বাংলাদেশ আগামী শুক্রবার চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে।