বাংলাদেশের সাকিব ৩ বছরে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটিকে ২৮ কোটি ডলারে নিয়ে গেছেন
ছবি:মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’ এর উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের তালিকায় স্থান পেয়েছেন সাকিব জামাল
প্রতিবছর ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারীদের তালিকা প্রকাশ করে মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’। উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের তালিকায় স্থান পেয়েছেন সাকিব জামাল। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই তরুণের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে। সানবীমস স্কুল থেকে ও লেভেল শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি।
তিন বছরের পড়াশোনা শেষ করে ২০১৫ সালে লি পো চুন ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ অব হংকং থেকে স্নাতকের সমতুল্য ডিগ্রি নেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড লেবার রিলেশনস’ বিষয়ে স্নাতক করেন সাকিব জামাল। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রসবিম ভেঞ্চারস নামে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। ২০২৩ সালের জুনে সরাসরি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর পদোন্নতি হয়। এখন তিনি এই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি।
২০২০ সালে যোগ দেওয়ার পর মাত্র ৩ বছরে প্রতিষ্ঠানটিকে ২৮ কোটি ডলারে নিয়ে যান সাকিব। প্রতিষ্ঠানটির এ রকম আর্থিক লাভজনক অবস্থায় আনতে মুখ্য ভূমিকা ছিল সাকিবের। ৯টি বিনিয়োগের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত। আরও ১৪টি বিনিয়োগও সাকিবের মাধ্যমে হয়েছে। জুনিয়র বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্রাউড সোর্স করেছেন তিনি, যার থেকে অর্জিত অর্থের একটা অংশ বাংলাদেশি স্কুলশিশুদের একটি ফাউন্ডেশনে যাচ্ছে।
বিশ্বে ৩০ বছরের কম বয়সী যেসব তরুণ-তরুণী বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিল্পকলাসহ অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ও প্রতিশ্রুতিশীল ভূমিকা রাখেন, তাঁদের নিয়েই অঞ্চলভিত্তিকভাবে ‘অনূর্ধ্ব–৩০’-এর তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী স্বীকৃতি। ‘ফোর্বস’-এর এশিয়া অঞ্চলের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’তে ধারাবাহিকভাবেই বাংলাদেশি তরুণদের আধিপত্য লক্ষণীয়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে ৭ জন করে ১৪ জন বাংলাদেশি স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়। ২০২৪ সালের এশিয়া অঞ্চলের তালিকা এখনো প্রকাশিত হয়নি।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো