বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র ‘আরব বসন্ত’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে- রাশিয়া
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র ‘আরব বসন্ত’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে- এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এমন শঙ্কার কথা জানান। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।
রোববার দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাশিয়ার মন্তব্য নিজেদের বিষয়। এটার সঙ্গে আমরা জড়াতে চাই না। আরব বসন্তের কোনো উপাদান এই দেশে ইনশাআল্লাহ হবে না।
এদিকে দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একটি সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের একই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আমার তো নিশ্চয় মনে হয় না এ ধরনের কোনো সুযোগ আছে। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার কারণে আমাদের দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত আছে। আর আমরা ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন করবো।
রোববার দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাশিয়ার মন্তব্য নিজেদের বিষয়। এটার সঙ্গে আমরা জড়াতে চাই না। আরব বসন্তের কোনো উপাদান এই দেশে ইনশাআল্লাহ হবে না।
এদিকে দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একটি সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের একই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আমার তো নিশ্চয় মনে হয় না এ ধরনের কোনো সুযোগ আছে। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার কারণে আমাদের দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত আছে। আর আমরা ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন করবো।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সেটা করবো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া কী বলেছে, এটা আমাদের ইস্যু নয়। এটা ওদের জিজ্ঞাসা করেন। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবে কিন্তু আমরা এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা সার্বভৌম, আমাদের ভারসাম্য পররাষ্ট্রনীতি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এটার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কে কী বললো, না বললো, এটা তাদের মাথাব্যথা। আমরা পরাশক্তিগুলোর টানাটানিতে পা দিতে চাই না। আমাদের ভারসাম্য কূটনীতি নিয়ে আমরা চলতে চাই।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, জনগণের ভোটের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক মনে না হলে ‘আরব বসন্তের’ মতো করে বাংলাদেশকে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হতে পারে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বিবৃতির সূত্র ধরে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানায়, মারিয়া জাখারোভা তার বিবৃতিতে বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারবিরোধীরা রাস্তাঘাট অবরোধ করে, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমরা এসব ঘটনার সঙ্গে ঢাকায় পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনগুলোর, বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্-এর উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক লক্ষ্য করছি। মারিয়া জাখারোভার বক্তব্য অনুসারে, এমন আশঙ্কার গুরুতর ভিত্তি রয়েছে যে, আগামী সপ্তাহগুলোয় ‘পশ্চিমা শক্তিগুলোর পক্ষে অসুবিধাজনক’ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকমের অবরোধ আরোপ করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর ওপর আঘাত আসতে পারে; সেই সঙ্গে কিছু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক রায় প্রদানে বাধাদানের তথ্যপ্রমাণহীন অভিযোগ তুলে পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত হবে, এমন সম্ভাবনা কম। বিবৃতির শেষে তিনি বলেন, তবে আমরা নিশ্চিতভাবে মনে করি, বাইরের শক্তিগুলোর সব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার বিষয়টির সুরাহা হবে দেশটির বন্ধুপ্রতিম জনগণের দ্বারাই, অন্য কোনো শক্তির দ্বারা নয়।
তথ্যসূত্র: মানবজমিন