বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লাগাতার ব্যর্থতা সমর্থকদের জন্য বড় আক্ষেপ
টুর্নামেন্টের শুরুতে যে দলটার স্বপ্ন ছিল অন্তত সেমিফাইনালে ওঠা – তাদের এখন একমাত্র সান্ত্বনা হল কোনওক্রমে বছরদেড়েক বাদে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন করতে পারা।
সেটার জন্যও তাদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে রবিবার ব্যাঙ্গালোরে ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচটার দিকে।
বৃষ্টিতে কোনও কারণে রাউন্ড রবিন লীগের এই শেষ ম্যাচটা ভেস্তে গেলে ডাচরা বাংলাদেশের সেই আশাতেও জল ঢেলে দিতে পারত।
এই বিশ্বকাপে মোট ন’টা ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র দুটোতে – প্রথম ম্যাচে ধরমশালায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে, আর আট নম্বর ম্যাচে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। বাকি সাতটা ম্যাচের কোনওটাতেই তারা সেই অর্থে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি।
এরই মধ্যে কলকাতায় বেশ কয়েক হাজার সমর্থকের উপস্থিতিতে ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের আরও হতাশায় ডুবিয়েছে।
এমন কী শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচেও বাংলাদেশের জয়কে ছাপিয়ে গেছে ‘টাইমড আউট’ বিতর্ক – শ্রীলঙ্কার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের বিরুদ্ধে ওই আবেদন পুরোপুরি আইনসম্মত হলেও বাংলাদেশ কাজটা ঠিক করেছে কি না, ক্রিকেট দুনিয়া কিন্তু তা নিয়ে এখনও মোটামুটি দু’ভাগ!
এরকম একটা পটভূমিতে বিশ্বকাপে ভারতের নানা প্রান্তে একজন সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ টিমকে ‘ফলো’ করার কাজটাও খুব একটা আনন্দদায়ক ছিল না বলাই বাহুল্য – আর তার একমাত্র কারণ, টিমটা মোটেই ভাল খেলছিল না!
অক্টোবরের গোড়ায় পাহাড়ি শহর ধরমশালাতেও যে বাংলাদেশ টিমকে টগবগ করতে দেখেছি, একটানা হারের পর কলকাতায় পৌঁছতে না-পৌঁছতেই সেই ক্রিকেটারদেরই শরীরী ভাষা কিন্তু একেবারে নেতিয়ে পড়েছিল।
পরাজয়ের নানা কারণ ব্যাখ্যা করতে করতে তারাও ততক্ষণে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত, একটা সময়ে টিম স্বীকারও করে নিল কেন যে কিছুই ‘ক্লিক করছে না’ – সেটা তাদেরও মাথাতেই ঢুকছে না!
এখানে একবার ফিরে দেখা যাক গত দেড় মাস জুড়ে চলা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানে – যার পরতে পরতে ছিল সাফল্যের মৃদু ঝলক-মেশানো সার্বিক ব্যর্থতা, বিতর্ক আর লম্বা লম্বা ক্লান্তিকর সব জার্নি!
‘টার্গেট’ যখন নেমে আসে
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের আগে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কোনও রাখঢাক না-করেই বলেছিলেন, তাদের প্রথম লক্ষ্য হল লীগ পর্যায়ের অন্তত চার-পাঁচটা ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা।
সেই অঙ্কে আপাতদৃষ্টিতে কোনও ভুল ছিল না – এখন যেমন দেখা যাচ্ছে ঠিক পাঁচটা ম্যাচ জিতেই নিউজিল্যান্ড শেষ চারে তাদের জায়গা করে নিয়েছে।
কোন চার-পাঁচটা ম্যাচকে তারা বিশেষ করে টার্গেট করছে, তারও একটা হিসেব ছিল বাংলাদেশের কাছে। যেমন নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা বা আফগানিস্তান ম্যাচ তো বটেই – তার সঙ্গে আরও দু’তিনটে তথাকথিত ‘বড় দল’।
কিন্তু চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারার পর থেকেই বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালে ওঠার অঙ্ক ক্রমশ জটিল হয়ে উঠতে থাকে।
পুনে ও মুম্বাইতে যথাক্রমে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরপর দুটো বড় হার সেই রাস্তাকে আরও কঠিন করে তোলে।
তারপরও অবশ্য টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি ‘আপসেট’ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা খোলা রেখেছিল।
হাথুরুসিংহে তখন বলেছিলেন, টুর্নামেন্ট এখনও ‘ওপেন’ আছে – সাকিব আল হাসানের অভিমত ছিল “অন্য দলগুলোই আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে রেখেছে।”
কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসে বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত হারের পরই সেমিফাইনাল কার্যত হাতের বাইরে চলে যায় – তারপর থেকে বাংলাদেশের ঘোষিত টার্গেট দাঁড়ায় ২০২৫-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতা অর্জন।
পাকিস্তান প্রথম সাতে এমনিতেই থাকবে, সেটা ধরে নিলে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম আটটা দলই সরাসরি ওই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে।
ফলে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায়, যে কোনওভাবে পয়েন্ট তালিকায় প্রথম আটে শেষ করা। দিল্লিতে এসে হাথুরুসিংহেকে বলতে হয়, “আমি বিশ্বাস করি এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব।”
টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, প্রত্যাশার পারদ ধীরে ধীরে এভাবে নেমে আসাটা ক্রিকেটারদের জন্য যেমন, সমর্থকদের কাছেও ছিল যন্ত্রণাদায়ক।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লাগাতার ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় কারণ যে ব্যাটিং বিপর্যয় – তা নিয়েও বিশ্বকাপের মধ্যেই ‘অবস্থান’ পরিবর্তন করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশ দলে ঘন ঘন ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে টুর্নামেন্টের মাঝপথে ভাইস ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত বারবার বলেছেন, প্রতিটা ম্যাচে আলাদা পরিকল্পনা-মাফিক ব্যাটিং অর্ডার সাজানো হচ্ছে।
“টিমের সবাই এটা হাসিমুখে মেনে নিচ্ছে এবং কারুর এটা নিয়ে কোনও প্রবলেমও নেই”, এমনও দাবি করেছিলেন তিনি।
কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কোনও ক্রিকেটারের না-হলেও দলের যে রীতিমতো ‘প্রবলেম’ হচ্ছে সেটা ততদিনে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
ফলে পুনে-তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের পর সেই শান্তকেই স্বীকার করতে হল, “সত্যি করে যদি বলি, ব্যাটিং অর্ডার অদল-বদল না-করলেই আমাদের জন্য ভাল হয়!”
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
একের পর এক বিতর্ক
শোচনীয় পারফরমেন্সের পাশাপাশি মাঠ আর মাঠের বাইরের বিতর্কও এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে কম ভোগায়নি।
বিশ্বকাপের আগে দল-গঠন বিতর্ককে পাশে সরিয়ে রাখলে প্রথম ভোগান্তিটা ছিল অবশ্য সমর্থকদের, আর সেটা আয়োজক দেশ ভারতের কারণেই।
৭ অক্টোবর ধরমশালাতে বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে, তখনও বহু সমর্থক ম্যাচের টিকিট পেয়েও ভারতের ভিসার অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করে বসে আছেন।
পরে সেই ভিসার জটিলতা ধীরে ধীরে কিছুটা মিটলেও প্রথমদিকের খেলাগুলোয় বাংলাদেশ কিন্তু বহু সমর্থককে পায়নি।
বাংলাদেশ সমর্থকদের কেনা বহু টিকিট ‘বুকমাইশো’-র তাঁবু থেকে কালেক্টই করা হয়নি, টিমও মাঠে মিস করেছে তাদের ক্রিকেট-পাগল ফ্যানদের।
এরপর পুনে-তে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়া অভিযোগ তুলল, তারা ইনিংসের শেষ দিকে ইচ্ছাকৃত নো-বল করে ভিরাট কোহলিকে সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল।
৪২তম ওভারে নাসুম আহমেদের অনেকটা লেগ-ঘেঁষা একটা বল ‘ওয়াইড’ না-ডেকে সে বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছিলেন আম্পায়ার নিজেই।
খেলার পর সেই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা নাজমুল হোসেন শান্ত যদিও দাবি করেছিলেন নো-বল করার কোনও নির্দেশ বোলারদের প্রতি ছিল না – দু’দেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে কিন্তু ততক্ষণে সেই ইস্যুতে জোরালো তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে গেছে!
এরপর কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে হারার পর বাংলাদেশি সমর্থকরাই নিজেদের দলকে সমস্বরে ‘দুয়ো’ দিয়েছেন – টিমবাসে ওঠার সময় মাথা নিচু করে সে অপমান হজম করেছেন ক্রিকেটাররা।
কলকাতার পর দিল্লিতে এসে বাংলাদেশ দল পড়ল মারাত্মক দূষণের কবলে। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা তো আইসিসি-কে চিঠি লিখে রীতিমতো ‘উদ্বেগ’ই জানিয়েছিল, যেটাকে দিল্লিতে ম্যাচ ফেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদপত্র বলাই ভাল।
বাংলাদেশ সে রাস্তায় না হাঁটলেও সেই ম্যাচের একটা ঘটনা কিন্তু দিল্লির দূষণ-বিতর্ককেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে সেই প্রথম টাইমড আউটের ঘটনা ঘটে ওই ম্যাচে – আর তা নিয়ে যে পরিমাণ নিউজপ্রিন্ট ও ভিডিও ফুটেজ খরচ হয়েছে তা বিশ্বকাপে আর কোনও ডিসমিস্যাল নিয়ে কখনো হয়নি।
এই টুর্নামেন্টে ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানকে ঘিরে সেটাই অবশ্য একমাত্র বিতর্ক নয়।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে সমস্যায় পড়া সাকিব যেভাবে বিশ্বকাপের মাঝপথে ‘ছুটি’ নিয়ে মুম্বাই থেকে সোজা ঢাকায় এসে নিজের পুরনো কোচের কাছে ট্রেনিং করাতে গিয়েছিলেন, তা নিয়েও আলোচনা বা সমালোচনা কম হয়নি।
‘দলছুট’ হয়ে যাওয়া সাকিবের সেই দেড় দিনের ঝটিকা সফরকে কলকাতায় খুব জোর দিয়ে ডিফেন্ডও করেছিলেন তাসকিন আহমেদ, তবে বিতর্ক তাতে থিতোয়নি।
পরে অবশ্য ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে ওপেনার লিটন দাসকেও দু’দিনের জন্য দেশে যাওয়ার ছুটি মঞ্জুর করেছিল বাংলাদেশ টিম।
৪৫ দিনে ৯০০০ কিলোমিটার
এবারের বিশ্বকাপে মূল পর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মোট দশটি ভেন্যুতে – আর টুর্নামেন্টের ফর্ম্যাটের কারণে প্রতিটা দলকেই মোটামুটি কমবেশি ‘ভারত দর্শন’ সারতে হয়েছে।
রাউন্ড রবিন লীগে বিশ্বকাপের দশটা দলই প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খেলেছে – আর এই মোট ৪৫টা ম্যাচের মধ্যে কোনও ভেন্যুই পাঁচটার বেশি ম্যাচ হোস্ট করার দায়িত্ব পায়নি।
‘উইজডেন’ ক্রিকেট সাময়িকী জানাচ্ছে, ভারতের ন’টা খেলা যেহেতু পড়েছিল ন’টা আলাদা ভেন্যুতে তাই দশটা টিমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্র্যাভেল করতে হয়েছে স্বাগতিক ভারতকেই – মোট ৯৭৬৭ কিলোমিটার।
এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে পাঁচ নম্বরে, তারা মোট ট্র্যাভেল করেছে ৭৩৩৪ কিলোমিটার। তবে তারা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল গুয়াহাটিতে, সেটা হিসেবে ধরলে ভারতের ভেতরে তাদের মোট জার্নি দাঁড়াচ্ছে প্রায় ন’হাজার কিলোমিটার।
উত্তর-পূর্ব ভারতের গুয়াহাটি থেকে প্রথমে তারা গেছে হিমালয়ের কোলে উত্তরের ধরমশালায়। সেখান থেকে সুদূর দক্ষিণের চেন্নাইতে ও তারপর দক্ষিণ-মধ্য ভারত ঘেঁষা পুনে-তে।
এরপর সড়কপথে পশ্চিমের মুম্বাই, এবং তারপর সটান পূর্ব ভারতের কলকাতায়। এরপর আবার বাংলাদেশ এসেছে উত্তর ভারতের দিল্লিতে – এবং সব শেষে আবার ফিরে গেছে দক্ষিণের পুনেতে।
তবে ধরমশালা ও কলকাতায় বাংলাদেশের পরপর দুটো করে ম্যাচ থাকায় অন্য কয়েকটি দলের তুলনায় তাদের কিছুটা কমই ট্র্যাভেল করতে হয়েছে।
এই সফরগুলোর প্রায় সবই যদিও চার্টার্ড ফ্লাইটে, তারপরও রাত পর্যন্ত ম্যাচ খেলেই পরদিন ভোরে ফ্লাইট ধরতে ওঠা অনেক সময় খুবই ক্লান্তিকর।
সঙ্গে থাকে তাদের পেল্লায় ক্রিকেট কিট, যেটাকে ‘ক্রিকেট কফিন’ বলে ডাকতেই পছন্দ করেন খেলোয়াড়রা।
ধরমশালায় বাংলাদেশ দলকে প্রথম দুটো ম্যাচে হোস্ট করেছিল যারা, সেই হিমাচল ক্রিকেটের সিনিয়র কর্মকর্তা মোহিত সুদ অবশ্য জানাচ্ছেন, বিশ্বকাপে প্রায় প্রতিটা দলকেই কমবেশি এরকম জার্নি করতে হয়েছে – ফলে এটা নিয়ে আলাদা করে কোনও দলেরই অনুযোগ করার সুযোগ নেই।
“তবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ক্রিকেট সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তারা ভারতের মাটিতে খুব বেশি খেলার সুযোগ পায় না। এবারে কিন্তু ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ ধরে তারা মোট সাতটা ভেন্যুতে খেলেছে।”
“ফলে এবারের বিশ্বকাপের পর মনে হয় না তাদের সে কথা বলার আর কোনও সুযোগ থাকবে”, বিবিসিকে বলছিলেন মি সুদ।
কিন্তু ক্রিকেটীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে এই সুদীর্ঘ ‘জার্নি’ বাংলাদেশের জন্য তেমন একটা সুখকর হয়নি, সমর্থকদের জন্য এটাই বড় আক্ষেপ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা