ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন অক্ষয় কুমার, স্বাধীনতা দিবসে দিলেন সুখবর
আলাপচারিতা
উইকিপিডিয়া তথ্য বলছে অক্ষয় কুমার পাঞ্জাবি:জন্মঃ ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তার প্রকৃত নাম রাজিব হরি ওম ভাটিয়া।২৯ বছরের অধিক অভিনয় জীবনে তিনি এক শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে রুস্তম (২০১৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এবং অজনবী (২০০১) ও গরম মসলা (২০০৫) চলচ্চিত্রের জন্য দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
তিনি প্রথম বলিউড অভিনেতা যার চলচ্চিত্রের সংগ্রহ ২০ বিলিয়ন রুপী ছাড়িয়ে যায় ২০১৩ সালে, এবং ৩০ বিলিয়ন রুপী ছাড়িয়ে যায় ২০১৬ সালে।এর মাধ্যমে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নব্বইয়ের দশকে তিনি মূলত মারপিটধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তী কালে তিনি নাট্যধর্মী, প্রণয়ধর্মী ও হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
তিনি অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্নার স্বামী এবং অভিনেতা রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কপাড়িয়ার জামাতা। ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৮ সালে উইন্ডসর বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে। ২০০৯ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে। ২০১১ সালে চলচ্চিত্র শিল্পে তার অনন্য অবদানের জন্য তিনি এশিয়ান অ্যাওয়ার্ডস থেকে সম্মাননা লাভ করেন।
আজ অক্ষয় কুমার দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভক্তদের সেই সুখবর দিলেন অক্ষয়। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার ডকুমেন্টসের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘মন আর নাগরিকত্ব, দুটোই হিন্দুস্তানি’।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছুদিন আগেই অক্ষয় জানিয়েছিলেন তিনি নাগরিকত্ব পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। খুব জলদিই ভারতের পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।
এর আগে অক্ষয় কুমার আজ তাক-এর ‘সিধি বাত’-এ জানিয়েছিলেন, ‘ভারত আমার কাছে সবকিছু। আমি যা অর্জন করেছি, যা পেয়েছি তা এখান থেকেই। এবং আমি ভাগ্যবান যে আমি ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। লোকেরা যখন না জেনে কিছু বলে তখন একটু খারাপ তো লাগেই।’
অক্ষয় আরো জানিয়েছিলেন ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে তার পরপর ছবি ফ্লপ করতে থাকে। একটানা পনেরোটি ছবি ব্যর্থ হয় বক্স অফিসে। বিকল্প আয়ের রাস্তা বেছে নিতেই সেই সময় কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এক বন্ধুই তাকে পরামর্শ দিয়েছিল। বলেছিল, ‘এখানে আয়। আমি তোর জন্য কাজ দেখছি।’ সেই বন্ধুর কথা মতো নাগরিকত্বের আবেদন করে দেন। কিন্তু এরপরই ভাগ্যের বিধানে পরপর দুটি ছবি হিট করে যায়। সেই বন্ধু ফের তাকে বলে ফিরে আসতে ভারতে। তারপর তো আর ফিরে তাকাতে হয়নি। দিয়ে গিয়েছেন একের পর এক হিট। একটার পর একটা কাজ পেতে থাকেন। অক্ষয় ভুলেই গিয়েছিলেন পাসপোর্ট পরিবর্তন করার কথা।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘ওহ মাই গড ২’। যা ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ওএমজি-র সিক্যুয়েল। এতে অক্ষয়ের সঙ্গে রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি আর ইয়ামি গৌতম।
এছাড়াও হাতে রয়েছে বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা, হেরা ফেরি ৩, হাউজফুল ৫, জলি এলএলবি ৩-এর মতো সিনেমা।