মগজধোলাই চীনা স্টাইল।। মগজধোলাইয়ে মানুষের মনোভাব, মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস পরিবর্তন করে
রুহল কুদ্দুস টিটো
মগজধোলাই: মন নিয়ন্ত্রণ, মানসিক হত্যা, জবরদস্তিমূলক প্ররোচনা, চিন্তা নিয়ন্ত্রণ, চিন্তা সংস্কার এবং পুনঃশিক্ষা নামেমগজধোলাইয়ে মানুষের মনোভাব, মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস পরিবর্তন করে,কোন বিষয়ের সমালোচনামূলক বা স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস করে তাদের মনে নতুন অবাঞ্ছিত চিন্তাভাবনা এবং ধারণা প্রবেশ করানো
মগজধোলাই চীনা শব্দ xǐnăo (洗腦,“মস্তিষ্ক ধোয়া”) মূলত চীনের মাওবাদী সরকারের অধীনে ব্যবহৃত জবরদস্তিমূলক প্ররোচনাকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল (কাঙ্খিত সামাজিক কাঠামোয়) “প্রতিক্রিয়াশীল” লোকেদেরকে নতুন চীনাদের “সঠিক চিন্তার” সদস্যে রূপান্তরিত করার। আচার অনুষ্ঠান বা পবিত্র স্থানে প্রবেশের আগে “হৃদয়/মন পরিষ্কার/ধোয়া” ( xǐxīn ,洗心) তাওবাদী রীতিতে শব্দটি শ্লেষিত ।
মগজ ধোলাই চীনে
চীনে কয়েক লাখ উইগার মুসলিমকে গোপন বন্দীশালায় আটকে রেখে কিভাবে তাদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে তার কিছু দলিলপত্র সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে এ ধরনের গোপন বন্দীশালার কথা চীন বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে, এবং চীন বলে থাকে যে মুসলিমরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছে।
তাদের দাবি, এগুলো আসলে প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা শিবির।
কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে যেসব ফাঁস হওয়া গোপন দলিলপত্র হাতে পেয়েছে, তাতে দেখা যায় কীভাবে এই উইগার মুসলিমদের বন্দী করে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে এবং শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
এসব গোপন বন্দীশালার ছবি বিশ্ব এর আগেও দেখেছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা উঁচু প্রাচীর ঘেরা এসব বন্দী শিবিরের ছবি। দেখেছে শিবিরের ভেতর থেকে তোলা ছবি, যেগুলো গোপনে বাইরে পাচার করা হয়েছে।
বেইজিং দাবি করে যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গত তিন বছর ধরে এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু এখন ফাঁস হওয়া দলিলপত্র থেকে পরিষ্কার এসব শিবিরের ভেতরে আসলে কী ঘটছে।
বিবিসির কাছে যেসব দলিল এসেছে, সেগুলো মূলত কীভাবে এই বন্দী শিবির চালাতে হবে তার নির্দেশনা। শিবিরের কর্মকর্তাদের জন্য লেখা এসব নির্দেশাবলী।
শিনজিয়াং কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারি ঝু হাইলুন ২০১৭ সালে নয় পৃষ্ঠার এই সরকারি দলিল পাঠিয়েছিলেন – যারা এসব শিবির পরিচালনা করেন তাদের কাছে।
এসব নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই শিবিরগুলো অত্যন্ত সুরক্ষিত জেলখানার মতো চালাতে হবে, বজায় রাখতে হবে কঠোর শৃঙ্খলা এবং কেউ যাতে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
মগজধোলাই কি
মগজধোলাই (আরও পরিচিত মন নিয়ন্ত্রণ, মানসিক হত্যা, জবরদস্তিমূলক প্ররোচনা, চিন্তা নিয়ন্ত্রণ, চিন্তা সংস্কার এবং পুনঃশিক্ষা নামে) ধারণা মতে মানুষের মন কিছু মনস্তাত্ত্বিক কৌশল দ্বারা পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মগজধোলাইয়ে মানুষের মনোভাব, মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস পরিবর্তন করে,কোন বিষয়ের সমালোচনামূলক বা স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস করে তাদের মনে নতুন অবাঞ্ছিত চিন্তাভাবনা এবং ধারণা প্রবেশ করানো যায়।
“মগজ ধোলাই” শব্দটি প্রথম ইংরেজিতে এডওয়ার্ড হান্টার দ্বারা ১৯৫০ সালে চীনা সরকার জনগণকে তাদের সাথে সহযোগিতা করার জন্য কীভাবে উপস্থিত হয়েছিল তা বর্ণনা করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। ধারণাটির গবেষণায় নাৎসি জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ফৌজদারি মামলা এবং মানব পাচারকারীদের কর্মকাণ্ডের দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে, লিসারজিক অ্যাসিড ডাইথাইলামাইড (এলএসডি) ব্যবহার করার সময় মস্তিষ্ক ধোলাই হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক এবং আইনি বিতর্ক, পাশাপাশি মিডিয়ার মনোযোগও ছিল। ঐ সমকালের অপরাধ হিসেবে গণ্য কিছু নতুন ধর্মীয় আন্দোলন-এর জন্য যুবকদের মাঝে পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও আগে মগজধোলাই করা হতো।মগজধোলাইয়ের ধারণা কখনও কখনও মামলা’র সাথে জড়িত থাকে, বিশেষ করে শিশু হেফাজত সম্পর্কিত। এটি অপরাধ মূলক বিজ্ঞান কল্পকাহিনী , রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট সংস্কৃতিরও একটি বিষয়বস্তু হতে পারে।
চীনা ও কোরিয়ান যুদ্ধে
অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারী ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ সালে প্রকাশিত মিয়ামি নিউজে সাংবাদিক এডওয়ার্ড হান্টারের একটি নিবন্ধে “ব্রেন ওয়াশিং” শব্দের প্রাচীনতম ইংরেজি ভাষার ব্যবহার হিসেবে রেকর্ড করে।হান্টার একজন স্পষ্টভাষী কমিউনিস্ট ছিলেন,একজন সাংবাদিক হিসাবে গোপনে কাজ করা এবং একজন সিআইএ এজেন্ট ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ।
হান্টার এবং অন্যরা কেন কোরিয়ান যুদ্ধের সময় (১৯৫৯-১৯৫৩) কিছু আমেরিকান যুদ্ধবন্দী তাদের চীনা বন্দীদের সাথে সহযোগিতা করেছিল এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে সরে গিয়েছিল তা কেন ও কীভাবে সম্ভব ব্যাখ্যা করার জন্য চীনা শব্দটি ব্যবহার করেছিল। ব্রিটিশ রেডিও অপারেটর রবার্ট ডব্লিউ. ফোর্ড এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্নেল জেমস কার্নেও দাবি করেছেন যে চীনারা তাদের কারাবাসের সময় তাদের মগজধোলাই কৌশলের শিকার করেছিল।
মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং সরকার জৈবিক যুদ্ধ সহ যুদ্ধাপরাধের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের স্বীকারোক্তিকে দুর্বল করার প্রয়াসে মগজধোলাইয়ের অভিযোগ তুলেছে। চীনা রেডিও সম্প্রচারের পর প্রথম মেরিন এয়ার উইং -এর চিফ অফ স্টাফ ফ্রাঙ্ক শোয়েবলের উদ্ধৃতি দাবি করার পর জীবাণু যুদ্ধে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জাতিসংঘের কমান্ডার জেনারেল।মার্ক ডব্লিউ ক্লার্ক জোর দিয়েছিলেন:
- এই বিবৃতিগুলি এই হতভাগ্য লোকদের ঠোঁট দিয়ে গেছে কিনা সন্দেহ।তারা যদি করে থাকে তবে তারা যা খুশি শব্দগুলি আদায় করার জন্য এই কমিউনিস্টদের মন-বিধ্বংসী পদ্ধতিগুলি খুব পরিচিত।।পুরুষরা নিজেরাই দায়ী নয় এবং এই জঘন্য উপায়ে ব্যবহার করার জন্য তাদের আমার গভীর সহানুভূতি রয়েছে।
১৯৫৩ সালের শুরুতে রবার্ট জে লিফটন আমেরিকান সৈনিকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন যারা কোরিয়ান যুদ্ধের সময় যুদ্ধবন্দী হয়েছিলেন এবং সেইসাথে পুরোহিত, ছাত্র এবং শিক্ষকদের যারা ১৯৫১ সালের পরে চীনে কারাগারে বন্দী ছিলেন।
২৫ জন আমেরিকান এবং ইউরোপীয়দের সাথে সাক্ষাৎকার ছাড়াও লিফটন ১৫ জন চীনা নাগরিকের সাক্ষাতকার নিয়েছেন যারা চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মগজধোলাইয়ের শিকার হওয়ার পরে পালিয়ে গিয়েছিল।(লিফটনের ১৯৬১ সালের বই থট রিফর্ম অ্যান্ড দ্য সাইকোলজি অফ টোটালিজম: এ স্টাডি অফ “ব্রেন ওয়াশিং” ইন চায়না, এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে।) লিফটন দেখতে পান যে যুদ্ধবন্দিরা যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসে তখন তাদের চিন্তাভাবনা শীঘ্রই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, “মগজধোলাই” এর জনপ্রিয় চিত্রের বিপরীতে।
১৯৫৬ সালে কোরিয়ান যুদ্ধের পরে মগজধোলাইয়ের ধারণাটি পুনরায় পরীক্ষা করার পরে মার্কিন সেনাবাহিনী কমিউনিস্ট জিজ্ঞাসাবাদ, ইন্ডোকট্রিনেশন, এবং যুদ্ধের বন্দীদের শোষণ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যা মগজধোলাইকে একটি “জনপ্রিয় ভুল ধারণা” বলে অভিহিত করেছিল।প্রতিবেদনে উপসংহারে বলা হয়েছে যে “অনেক সরকারী সংস্থার সম্পূর্ণ গবেষণায় কোরিয়ায় একজন আমেরিকান যুদ্ধবন্দীর ‘মগজধোলাই’ এর একটি চূড়ান্ত নথিভুক্ত ঘটনাও প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
২০১৬ সালে রমজান মাসে ইফতারির পর রাজধানীর গুলশানে এক অভিজাত রেস্তোরাঁতে কিছু দুষ্কৃতি সন্ত্রাসী হামলা করেছিল। তারপর সেই সন্ধ্যা ইতিহাসের পাতায় এক নজিরবিহীন নারকীয় হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
ব্রেইন ওয়াশ বা মগজ ধোলাইয়ে মিশ্র সিডেটিভ
বহুল আলোচিত ঘটনা গুলশান ট্র্যাজেডি। এটা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। চলছে জঙ্গিদের নিয়ে বিস্তর গবেষণাও। গবেষণা চলছে সেসব যুবক ছেলেদের নিয়েও যারা তাদের বুদ্ধি-বিবেচনা হারিয়ে এরকম একটা ধ্বংসাত্মক কাজে নিজেদের জড়িয়েছেন।
সেই সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছিল, যে ছেলেগুলো এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল তাদের অধিকাংশই বিলাসবহুল পরিবারের বলে মনে হয়েছে। এমন কি, তাদের জীবন ছিল রঙিন- গান, ক্লাব, নাচানাচি, ফুটবল আর দুনিয়ার তাবৎ আমোদ-ফুর্তিতে ভরা ছিল। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা গায়েব হয়ে ৩/৪ মাসের শর্ট কোর্স গ্রহণ করেই এরকম হামলায় অংশ নেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এত অল্প সময়ে কি দ্বীনের সমস্ত জ্ঞান অর্জন করা যায়? নিশ্চয়ই না। বলা যায় এর পুরোটাই ছিল ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা, মিস গাইডেড কিন্তু তাহলে এরা কীভাবে পেরেছিল?
একবার ভেবে দেখুন যারা প্রতিনিয়ত গান-বাজনা, খেলাধুলা, ভিডিও গেইম নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাঁরা তো এই আক্রমণকে খেলা হিসেবেই নিয়েছে। আর যদি সাথে তাদেরকে এভাবে গাইড করা হয় যে, এভাবে মানুষ মারলে জান্নাত নিশ্চিত। তাহলে আর থেমে থাকবে? এরকম অফার ছাড়তে চাইবে কেউ? আগে আমরা কম্পিউটারে ভার্চুকপ ভিডিও গেইম দেখেছি না কীভাবে গুলি করে মানুষ মারে? সেটা তাঁরা বাস্তবেই করেছে। ছোট করে বললে- এটাকেই ব্রেইন ওয়াশ বা মগজ ধোলাই বলে।
মেডিকেল সায়েন্সে আছে বেশ কিছু সিডেটিভ ওষুধের নাম। এই জঙ্গি যদি কেউ নেয় তবে সে অসচেতন হয়ে যায় অর্থাৎ চেতনার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়, ফলে ঘুম হয় এটা দিয়ে তৈরি মিশ্র সিডেটিভ জঙ্গিরা ব্যবহার করে থাকে।
ফলে তাদের ব্রেইনের প্যাটার্নই পাল্টে যায়। মানুষের মনকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় মিশ্র সিডেটিভ ব্যবহার করে। তাদেরকে দিয়ে যা খুশি তা বলানো বা করানো যায়। কথা দিয়ে মানুষের ব্রেইনকে অত ওয়াশ করা যায় না। ব্রেইন ওয়াশ বরাবরই নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ঘটে থাকে।
Sodium Amytal এটা সৈন্যদের মুখ থেকে তথ্য বের করার জন্যে ব্যবহার করতো। এটির ব্যবহার শুরু হয়েছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়। এরকম আরও অনেক মিশ্র সিডেটিভ রয়েছে যা ব্যবহার করে যে কাউকে যে কোন ধরণের অপরাধের সাথে জড়ানো যায়।
বিভিন্ন তদন্তের স্বার্থে নার্কো অ্যানালিসিসের সময় যে সোডিয়াম পেন্টোথল ব্যবহার করা হয়
নার্কো অ্যানালিসিসের মাধ্যমে barbiturates অথবা অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ, যেমন sodium pentothal, scopolamine অথবা sodium amytal কে ইন্টরাভেনাস ইনজেকশনের সাহায্যে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এই রাসায়নিক পদার্থগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করার পর তা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর এমন ভাবে কাজ করে যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি আনেস্থেশিয়ার বিভিন্ন পর্যায় প্রবেশ করে। এমনই একটি অবস্থা হল হিপনোটিক স্টেজ যখন মানুষ নিজের চিন্তাশক্তিকে সচেতন ভাবে ব্যবহার করতে পারে না এবং উদ্বেগ, আবেগ বা পুরনো কোনো স্মৃতি দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে কথা বলতে পারে।
মানুষ সাধারণত নিজেদের চিন্তাশক্তি বা কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যে কথা বলে। কিন্তু নার্কো অ্যানালিসিসে ব্যবহৃত ড্রাগের প্রভাবে অপরাধী সচেতন অবস্থার মতো সহজে কোনো কিছু চিন্তা করতে পারে না ; বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন যে এর ফলে অপরাধীরা কোনো অপরাধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, বিবিসি বাংলা,Quora