আন্ত ও অন্তর্দলীয় সহিংসতাসহ নির্বাচন পূর্ব এবং পরবর্তী সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করতে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মূল্যায়ন টিমের সঙ্গে এবি পার্টির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার গুলশানস্থ হোটেল আমারি’তে বেলা ১২টায় এই বৈঠক শুরু হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে এবি পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া এবং সহকারী সদস্য সচিব ও উইমেন উইং ইনচার্য ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এর ৫ সদস্যের যৌথ মূল্যায়ন টিম সম্প্রতি ঢাকায় এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন টিমের সদস্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইআরআই-এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআই যৌথ টিমের নিরাপত্তা ও শারীরিক নির্যাতন বিশ্লেষক নেনাদ মারিনকোভিচ এবং তথ্য পরিবেশ বিশ্লেষক ইভালো পেনশেভ।
পাঁচ সদস্যের এই টিম আন্ত ও অন্তর্দলীয় সহিংসতাসহ নির্বাচন পূর্ব এবং পরবর্তী সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করবে। তারা নারী এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা এবং অনলাইন হয়রানি ও হুমকিগুলোর বিষয়েও দৃষ্টি রাখবে। এ টিমটি নির্বাচনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করে কথা বলছে। তারই অংশ হিসেবে তারা এবি পার্টির প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানায়।
এদিকে বৈঠক শেষে এবি পার্টির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে টিম এসেছে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসেননি তারা মূলত নির্বাচন পূর্ব এবং পরবর্তী সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন। মার্কিন টিম ইতিমধ্যে সংগঠিত নির্বাচন কেন্দ্রিক সরকার দলীয় অন্ত:দলীয় সহিংসতা বিষয়ে জানতে চান এবং নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন। তাজুল ইসলাম বলেন, এবি পার্টি কেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনকে সমাধান হিসেবে প্রস্তাব করেছে তার যৌক্তিকতা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট।
নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত পূরণ সত্ত্বেও এবি পার্টিসহ কার্যকর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন না দেয়ার বিষয়েও জানতে চান মার্কিন টিম। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন যে একটি প্রহসনমূলক প্রক্রিয়া তার প্রমাণ এখন সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের আচরণেই স্পষ্ট। আমরা মনে করি এই নির্বাচন দেশকে আরও বিভক্ত ও গভীর সংকটে নিপতিত করবে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের নির্বাচনী সহিংসতার ফলে দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটবে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সংবাদসূত্র: মানবজমিন