মেহেরপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর
মেহেরপুরে চ্যানেল ২৪ স্টাফ রিপোর্টার রাশেদুজ্জামান ও জবাবদিহি পত্রিকার সাংবাদিক সিরাজুদ্দোজা পাভেলের উপর হামলা মামলার দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার আসামিদের রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।
আসামিরা হচ্ছে- এজাহার নামীয় ১নং আসামি আকাশ ও ২নং আসামি আবু লায়েছ।
জানা গেছে, ১২ ফেব্রুয়ারী ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ ২ নং আসামি আবু লায়েছকে গ্রেফতার করে। দুই দিন পরে ১নং আসামি গ্রেফতার হয়। মেহেরপুর সদর থানা থেকে আসামিদের আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এ দুই আসামির রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন দাখিল করেছিলেন। বিজ্ঞ আদালত গতকাল সোমবার জামিন ও রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্র্য করেছিলেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্যসহ বেশ কয়েকজজন আইনজীবী সাংবাদিক রাশেদুজ্জামানের মামলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে জামিনের বিরোধীতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরাও তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানিশেষে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলগেটে রিমান্ড শুনানি করবেন বলে আদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।
প্রসঙ্গত, গেল ১২ ফেব্রুয়ারী মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটর সাইকেল চালক নিহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে কিছু উচ্ছৃংখল মানুষ মউক নামের একটি এনজিও অফিসে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করার সময় উচ্ছৃংশল কিছু মানুষ সাংবাদিক রাশেদুজ্জামানের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে ছুটে গেলে তাদের হামলার শিকার হন সাংবাদিক পাভেল। হামলাকারীদরা লাঠিসোটা ও রড দিয়ে তাদের দুজনের উপর নির্মমভাবে পেটাতে থাকে। ভেঙ্গে দেয় রাশেদের ক্যামেরা মোবাইল। পরে পুলিশ ও সাংবাদিকরা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। ঘটনার দিন রাশেদুজ্জামান বাদি হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে পুলিশ আরও একজনকে গ্রেফতার করে। এ পর্যন্ত তিন আসামির জামিন দিয়েছেন আদালত। দুজন জেল হাজতে রয়েছে এবং বাকি আসামিরা এখনও গ্রেফতার হয়নি।
এদিকে হামলার মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার গ্রেফতার না হওয়ায় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মাস্টার মাইন্ডদের গ্রেফতার এবং হামলার কারণ উদঘাটনের জোর দাবি প্রতিবাদী কর্মসুচী করে যাচ্ছেন মেহেরপুর জেলার সাংবাদিক সমাজ।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রতিবাদী কর্মসুচীর সাথে একাত্ম প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আসামিদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করে আসছেন।