‘শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় জাতিসংঘ’
এছাড়া ঐ সব তথাকথিত সুশীল সমাজ ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত কিছু ব্যক্তি বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে লক্ষ্যে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অবাধে সভা-সমাবেশ শুরু করেছে। বাংলাদেশে তাদের সংগঠন কি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সঙ্গে হস্তক্ষেপ করবে? এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের অবস্থান কী?
জবাবে ফারহান হক বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে উৎসাহিত করে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, জাতিসংঘ প্রকৃত অর্থেই রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের উদারতার প্রশংসা করে। আমরা আশা করি, এটি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ নিয়ে মন্তব্য করা আমার কাজ না। এটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সিদ্ধান্তের বিষয়।
সংকট নিরসনে সিইসি সংলাপের পরামর্শ দিলেও শর্ত দিচ্ছে দু’পক্ষ -দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এই সংবাদে বলা হয়েছে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আবারো সংলাপের পরামর্শ দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন ‘এই সংকট রাজপথে মীমাংসার বিষয় নয়। চায়ের টেবিলে বসেই সমাধানের চেষ্টা করা উচিত’।
মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সিইসি দলগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ মার্কিন দূতও বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে’।
দৈনিক ইত্তেফাকেও সিইসির বক্তব্য প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে। পাশাপাশি পত্রিকাটির আরেকটি সংবাদের শিরোনাম করা হয়েছে বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ।
এতে বলা হয়েছে সোমবার প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপত্র ফারহান হক বলেছেন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ।
‘রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না:যুক্তরাষ্ট্র’ শীর্ষক আরেকটি সংবাদে বলা হয়েছে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘ ভোটার, রাজনৈতিক দল, পুলিশসহ সবার প্রতিশ্রুতির ওপর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করে। রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না’।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের এসব বক্তব্য মিলিয়ে একটি সংবাদ করেছে NEW AGE, যার শিরোনাম UN wants peaceful, inclusive election in Bangladesh.
দ্যা ডেইলি স্টারও সব দলকে সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে সিইসি যে আহবান জানিয়েছেন তাকেই প্রধান সংবাদ করেছে যার শিরোনাম Sit together to end crisis.
নয়া দিগন্ত রাখাইনে বাড়িঘরের চিহ্নও রাখা হয়নি শীর্ষক সংবাদে বলা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা উঠলেই আবেগে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন রোহিঙ্গারা। আবার প্রত্যাবাসনবিরোধী কিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরতে চাইলে খুনোখুনিতে মেতে ওঠেন। সম্মানজনকভাবে রোহিঙ্গারা ফিরতে চায় নিজ দেশে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি সংবাদ গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা, যার শিরোনাম Rohingyas may be taken back to own villages. এতে বলা হয়েছে কক্সবাজারের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের কোনো ক্যাম্প বা মডেল ভিলেজের পরিবর্তে মিয়ানমার উত্তর মংডু ও আশেপাশের এলাকায় প্রত্যাবাসন করতে চায়।
ঢাকা সফররত চীনা বিশেষ দূত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে বলে পত্রিকাটি এই সংবাদে দাবি করেছে।
দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম সংঘাতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। এ খবরে বলা হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অপরাধীদের জবাবদিহিতায় আনার পাশাপাশি সবাইকে সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহবান জানান।
পত্রিকাটির এই খবরে আরও বলা হয়েছে, ‘এদিকে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমো ভউল। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন অক্টোবরে প্রাক নির্বাচনী মিশন ঢাকায় আসবে। তবে বিদেশীদের এই তৎপরতাকে খুব বেশি আমলে নিচ্ছে না সরকার’।
দৈনিক প্রথম আলোর ‘করের টাকায় মন্ত্রী-সচিবের মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে মা-বাবা, নানা-নানি, দাদা ও বাড়ির নামে হাসপাতালের মতো স্থাপনা করতে একজন মন্ত্রী, পাঁচজন সাবেক সচিব ও তিনজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব নিয়েছেন ২৮৬ কোটি টাকা। সমাজসেবা অধিদপ্তর ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করেছে, যার অন্তত এগারটি মন্ত্রী বা আমলাদের মা-বাবা অথবা স্বজনের নামে।
পত্রিকাটির আরেকটি সংবাদের শিরোনাম হলো ‘ডলারের পরে টাকার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ খাত’।
এতে বলা হয়েছে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে ২৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি; কিন্তু তা দিয়ে ১৪ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদাই পূরণ করা যাচ্ছে না। মূলত টাকার অভাবে পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদামত বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিল বকেয়া পড়ে আছে, ফলে প্রয়োজনীয় জ্বালানি কেনা যাচ্ছে না। এর মধ্যেও চলছে অব্যবস্থাপনা-অপচয়। এসব কারণে ঢাকার বাইরে একটি বড় অংশে নিয়মিত চলছে লোডশেডিং।
হাসপাতালে যন্ত্রের ‘রোগ’ – দৈনিক সমকালে এই শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি সংবাদে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল যন্ত্রের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ‘শত শত কোটি টাকার মেডিকেল যন্ত্র কোথাও বিকল, কোথাও পড়ে আছে অব্যবহৃত। যন্ত্রের বাক্স খোলা হয় না বছরের পর বছর , এমন অদ্ভুত কাণ্ডও আছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব যন্ত্রের ব্যবহার না থাকায় রোগীদের কষ্ট, ভোগান্তি বাড়ছেই।
দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার Bangladesh’s global market share in clothing exports rises to 7.9% শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির হিস্যা ২০০৫ সালের ২.৫ শতাংশ থেকে তিনগুণ বেড়ে ২০২২ সালে ৭.৯ শতাংশ হয়েছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ রপ্তানি করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ারও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। রপ্তানিকারকরা বলছেন নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পাওয়া গেলে এবং শুল্ক ও করনীতি অনুকূলে থাকলে রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।
বণিক বার্তা তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে, যার শিরোনাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি তিন শিক্ষকে একজন অধ্যাপক!‘। এ সংবাদে বলা হয়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৩৬। তাদের মধ্যে অধ্যাপক আছেন ৪ হাজার ৬৬১ জন। সে হিসেবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশই অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষকের প্রায় এক তৃতীয়াংশই অধ্যাপক হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশে তেমন একটা দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকার ট্রিবিউন এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সংবাদের শিরোনাম PM HASINA: Awami League never runs away. এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে তিনি ও তার দল আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে ছিলেন। ‘শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনোই পালিয়ে যায়নি’, বলছেন তিনি।
দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান সংবাদের শিরোনাম ‘রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার একদিনের সম্মান’। খবরটিতে মূলত স্বাধীনতা পুরষ্কারসহ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরা যে কার্যত বিশেষ কোনো সম্মান পান না সেটিই তুলে ধরে বলা হয়েছে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর দাবি খুব বেশি চাওয়া নয়।
অন্যদিকে কালবেলা পত্রিকার ‘জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে বিএনপি নেতাদের নির্দেশ’ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়েছে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে বিএনপি।
তবে দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী এই মূহুর্তে তাদের সঙ্গে নেই। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর থেকে দীর্ঘদিন রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে ছিলো জামায়াত। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতকে আবারও কাছে টানতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড।
আর মানবজমিনে ‘পর্দার অন্তরালে কী ঘটছে‘ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়েছে চেনা চিত্রই বার বার ফিরে আসছে রাজনীতির ময়দানে। বিরোধী দলগুলো উজ্জীবিত। সরকারি দল সতর্ক। কখনো কঠোর আবার কখনো নমনীয় বার্তা দিয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা। নির্বাচনের কয়েক মাস সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে অন্য এক আবহ।
সূত্র. বিবিসি বাংলা