সমাজ বদলে দেয়ার জন্য একজন মানুষের অদম্য ইচ্ছাই যথেষ্ট-
মেহেরপুরের কৃতি সন্তান আম্বিয়া বেগম অন্তরা তাদেরই একজন
সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা কিছু এল পাপ তাপ বেদনা অশ্রুবারি,
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর অর্ধেক তার নারী। –কাজী নজরুল ইসলাম
‘নারী’ কবিতায় নারীর অধিকার ও সভ্যতার অগ্রগতিতে পুরুষের পাশাপাশি তাদের অবদানের কথা বলেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম নরনারী উভয়কেই একই স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। তাাঁর কথার সূত্র ধরে মেহেরপুরের মেয়ে আমেরিকায় জীবনের অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজেকে যেমন প্রতিষ্ঠিত করেছেন তেমন তিনি অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে বিদেশের বাঙ্গালী নারি হয়ে মাটিতে গড়ে তুলেছেন মানব কল্যাণে একটি প্রতিষ্ঠান। আমেরিকার মাটিতে তিনি পেয়েছেন এওয়ার্ড । আমেরিকায় অন্য কেউ প্রতিষ্ঠান গড়ে আমেরিকান এওয়ার্ড পেয়েছেন আমার জানা নেই ।
আম্বিয়া বেগম অন্তরা যখন প্রথম আমেরিকায় যান তখন মুখোমুখি হন নানারকম প্রতিকূলতার নিউ ইয়র্ক স্টেটের আইন মেনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন প্রতিষ্ঠানটি মধ্য আমেরিকায় গড়ে তুলেছেন অভিবাসীবান্ধব নন প্রফিট অর্গানাইজেশন এম্পাওয়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ইডিপি (Empowering Development Project) এ ছাড়াও তিনি Chairman & CEO at Creative tailors & fashion। ইডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সেক্রেটারি মিসেস আম্বিয়া বেগম একজন এন.জি.ও. ব্যক্তিত্ব।বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এন.জি.ও. সেক্টরে দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
আম্বিয়া বেগম যার নাড়ী পোতা রয়েছে মেহেরপুরের মাটিতে । আম্বিয়া বেগম অন্তরা ইডিপি প্রতিষ্ঠানটি একটি অভিবাসী বান্ধব প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের মধ্য রয়েছে অভিবাসীদের জন্য বিনামূল্যে ই.এস.এল ট্রেনিং প্রদান, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত পরামর্শ, নারীদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষগন কার্যক্রম, ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত আইনি পরামর্শ এবং বাংলা সংস্কৃতিকে প্রবাসের মাটিতে নতুন প্রজন্মের মাঝে আরো সুদৃঢ়ভাবে সম্প্রসারণের লক্ষ্য বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল/ মেলা আয়োজনের উদ্যোগ।
মেহেরপুরের মেয়ে আম্বিয়া বেগম অন্তরা চিন্তা চেতনায় ইডিপি একটি অভিবাসীবান্ধব প্রতিষ্ঠানটি যেমন প্রতিষ্ঠিত করেছেন তেমনি ভাবে ব্যক্তিগত জীবন ও সামাজিক নানা বাধা ডিঙ্গিয়ে নিজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আমেরিকায়। এখন লড়াই করছেন অন্যদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম করতে। ইডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সেক্রেটারি মিসেস আম্বিয়া বেগম একজন এন.জি.ও. ব্যক্তিত্ব।
কারো কাছ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা না নিয়ে, সম্পূর্ণ নিজের চাকরির পয়সায় এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন তিনি। সমাজের বঞ্চিত নারী পুরুষদের জন্য তিনি কাজ করছেন। তার প্রতিষ্ঠানটি ইমিগ্রান্টদের জন্য কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের মাধ্যমে দক্ষ ও সচেতন জনবল গড়ে তোলা।
এম্পাওয়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট সংক্ষেপে ইডিপি বিশিষ্টজনদের মতামত
বর্ষীয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন,একজন বাংলাদেশী মেয়ের এমন সাফল্য আজ অনেকের কাছে ঈর্ষার, অনেকের কাছে আবার অনুপ্রেরণার।ইডিপিকে তার গন্তব্যে যেতে হলে সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় বারবার দিতে হবে। আমি আশা করি ইডিপি সেই গন্তব্যে পৌছুতে বদ্ধপরিকর।
ডেমোক্রেট রাজনৈতিক দলের নেতা মোর্শেদ আলম ইডিপি’র কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, আমেরিকাতে একটি প্রতিষ্ঠানের বৈধ স্বীকৃতি পাওয়া অনেক কঠিন ও অসম্ভব কাজ। আম্বিয়া বেগম সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। একজন মানুষের এমন সাফল্য সত্যিই অবাক করার মত। সমাজসেবা একটি ভাল উদ্যোগ তবে কঠিন কাজ যা শুরু করেছেন এর প্রতিষ্ঠাতা।
আমেরিকায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলোচিত ব্যাক্তিত্ব নীলা জেরিন বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে এখান থেকে। ইডিপি যে ইতিবাচক কাজ হাতে নিয়েছে তাতে আমি সত্যিই সত্যিই মুগ্ধ।
– মানবজমিন
২০২৪ তিনি ভেনেসা এল গিবসন এওয়ার্ড পান তিনি ।
২০১৯ সালে তাকে নিয়ে স্টোরি করেছিল মানবজমিন। এ স্টোরিতে লেখা হয় অর্গানাইজেশন এম্পাওয়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ইডিপি কে আমেরিকান সরকার, সিটি ও চীফ এ্যাটর্নী জেনারেল থেকে বৈধ অনুমোদন ও স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের বর্ষপূর্তিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন- জাতিসংঘ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি, নিউইয়র্কের সিটি মেয়র, আমেরিকাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুল জেনারেল, বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল সহ আমেরিকার গুনী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
#মেহরপুরের মাটির এ সন্তান আম্বিয়া বেগমের সাথে একান্ত আলাপচারিতা হবে, তিনি যুক্ত হবেন সরাসরি আমেরিকা থেকে ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ আগামী মঙ্গলবার রাত ৮:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানটি সরাসরি স্মপ্রচারিত হবে Tito Quddus , আলাপচারিতা Ruhul Quddus Tito ফেসবুক আইডিতে আপনি আমনন্ত্রিত। আপনার সদয় উপস্থিতি আমাদের ধন্য করবে।