স্যার যদি আমার সনদপত্র প্রদান করেন তাহলে লেমেনেটিং করে, আমার কবরের মাথার কাছে টাঙিয়ে দিও- মুন্সী আবু সাইফ
অনেক প্রতিবন্ধকতা পার করে পিএইচডি (ডক্টরেট) অর্জন করলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সী আবু সাইফ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
তিনি তার গবেষণাকর্মের সম্মানিত তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. খোরশেদ আলম স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন স্যার সবসময়ই আমাকে সাহস দান করেছেন।
তিনি বলেন আমার বাড়ি অনেক দূরে হবার কারণে, স্যার মধ্যরাত পর্যন্ত আমাকে কম্পিউটারে অনলাইনে যুক্ত করে গবেষণাকর্মের নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করতেন।
তিনি আরও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ও মহৎপ্রাণ শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতি। তিনি বলেন আপনাদের উৎসহ ও সহযোগিতা না, পেলে আমি হয়তো অগ্রসর হতে পারতাম না।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশীদ স্যার এবং বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ আঃ আজিজ স্যারসহ সুপ্রিয় সহকর্মীবৃন্দ আমাকে নানাভাবে উৎসাহিত করেছেন-সবার প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। ভালোবাসা আমার সেইসব ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যারা আমাকে জীবনতুল্য ভালোবাসেন।
আমার ভাগ্নী মিথুন এবং ভাগ্নী জামাই সৈকতের কাছে আমি চিরঋণী। জাহাঙ্গীরনগর যেয়ে কত আপ্যায়ন আমি তোদের কাছে পেযেছি-ভুলতে পারবো না।
ত্যাগ স্বীকার
*গত ৪ নভেম্বর, ২০২৩ এ আমার মৌখিক পরীক্ষার আগের দুই মাস আমি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। মনে হয়েছিল, আর হয়তো বাঁচব না। হাসপাতালে আমার স্ত্রী এবং দুই পুত্রসন্তানের হাতধরে বলেছিলাম, আমি যদি মারা যাই, তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর স্যারের কাছে করজোড়ে মিনতি করে, আমার সার্টিফিকেটটা নেয়ার চেষ্টা করো।
স্যার যদি আমার সনদপত্র প্রদান করেন, তাহলে লেমেনেটিং করে, আমার কবরের মাথার কাছে টাঙিয়ে দিও। আমার অনন্তকালের সাধনা।
*আজ যখন সনদপত্রটি হাতে পেলাম তখন আমি আনন্দে কেঁদেছিলাম। আজ যদি আমার আব্বা মুন্সি আব্দুস ছাত্তার এবং আমার মা বেঁচে থাকতেন, তাহলে তাঁরাও আমার মতোই খুশি হতেন।
মুন্সী আবু সাইফ আলাপচারিতার জন্মলগ্ন থেকে অন্যতম প্রধান সাহিত্য আলোচক হিসেবে আছেন। তাঁর এ ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জনে আলাপচারিতার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।