‘হে বৈশাখ’
হাসিনা রহমানের কবিতা
আজ সমাগত পহেলা বৈশাখ, এসো হে নব সূর্যোদয়ে
পুরাতন যত জীর্ণ-জরা, দুঃখ ক্লেশ পেছনে ফেলে।
বৈশাখী মেলা, হালখাতা নববর্ষের উৎসব আয়োজন
এসব উৎসব বাঙালির মিলনমেলার এক সেতুবন্ধন।
নগর জীবনে রমণীরা সাজে লাল পাড় সাদা শাড়ি ও ফুলে
আনন্দে মেতে উঠে নাচে গানে রমনার বটমূলে।
গ্রাম্য জীবনে বৈশাখী মেলার বিভিন্ন আয়োজন
সরল মানুষেরা খুঁজে পায় তাদের আনন্দের উপকরণ।
বৈশাখী মেলায় আসে বাহারি পুতুল, খেলনা রঙিন ডালা কুলা
আরও আসে খাগড়াই, কদমা মুড়কি বাতাসা ও নাগরদোলা।
বৈশাখ আসে ফুলের সম্ভার নিয়ে কনকচাঁপা, বেলি, সোনালী শাপলা
রসালো ফল আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, চালতা।
সন্ত্রাস ও মহামারিতে পৃথিবীর বাতাস আজ কলুষিত
হে বৈশাখ পাতা ঝরিয়ে ফুল ফুটিয়ে ধরণীকে করো সুশোভিত।
নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশায় জাগবে বঙ্গ লোক
মিটবে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, পাবে শিক্ষা এই শপথ হোক।
বৈশাখী মেলার পুতুল নাচ, যাত্রাপালা যায় কি ভোলা?
আরও আছে বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়ানোর মজা!
এসো আজ শপথ করি সকলে হাতে হাত ধরি
আগামীর তরে সুখী সমৃদ্ধ এক সমাজ গড়ে তুলি।