আশ্বর্যজনক স্থাপনা ‘গ্র্যান্ড মস্ক হাসান-টু’
আলাপচারিতা
মরক্কোর মাটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন পানিতে ভাসমান এ মসজিদটির নাম গ্র্যান্ড মস্ক হাসান–২ বা দ্বিতীয় হাসান মসজিদ। একে ভাসমান মসজিদ বলার কারণ হচ্ছে, মসজিদটির তিন ভাগের এক ভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসল্লিরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর।
যতদূর চোখ যায় উত্তাল সমুদ্র। নীল সাগরের ওপর দেখা যাচ্ছে অসম্ভব সুন্দর কারুকাজখচিত একটি ভাসমান মসজিদ। অবিশ্বাস্য হলেও অদ্ভুত সুন্দর এই মসজিদটির অবস্থান মরক্কো উপকূলের মাঝসাগরে। দূরের কোনো জাহাজ থেকে একে দেখলে মনে হবে ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে, আর মুসল্লিরা পানির ওপরই নামাজ পড়ছেন।
আশ্বর্যজনক এই স্থাপনাটির নাম ‘গ্র্যান্ড মস্ক হাসান-টু’। মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরে এটি তৈরি করেছেন বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান। এর নকশা তৈরি করেছিলেন ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের একদল প্রকৌশলী এবং নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি ডলার।
ভাসমান ওই মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১ লাখ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মসজিদটির মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার। আর মেঝ থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মজার ব্যাপার হলো, প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে মসজিদের ছাদটি খুলে যায় ও বন্ধ হয়। ফলে এর ভেতরে আলো-বাতাসের কোনো কমতি হয় না কখনো।
১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে এই মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ৭ বছরে ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর পরিশ্রমে ১৯৯৩ সালে এটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এটি মরক্কোর বৃহত্তম মসজিদ এবং পৃথিবীর ১৩তম বৃহৎ মসজিদ। এর আয়তনের তিন ভাগের এক ভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর হওয়ায় একে ‘ভাসমান মসজিদ’ও বলা হয়।