মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস কারাগারে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে আনন্দ মিছিল চলাকালীন সময় মিছিলে হামলার মামলায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামির নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো জাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের দিন আনন্দবাস গ্রামে আনন্দ মিছিল বের হওয়ার পর মিছিলে হামলার ঘটনায় মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস সহ প্রায় ৩০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আনন্দবাস গ্রামের আলীহীম মোল্লার ছেলে আলতাব হোসেন বাদী হয়ে ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/১১৪/৫০৬/৩৪ ধারায় মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আনন্দবাস গ্রামের অকছেদ মোল্লার ছেলে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে রাসেল উদ্দিন, আব্দুল জলিলের ছেলে জয়নাল আবেদীন, রুহুল আমিনের ছেলে মামুন, শহীদ বিশ্বাসের ছেলে রানা বিশ্বাস, আলী বিশ্বাসের ছেলে বাচ্চু, গবরা হালসানা ছেলে হাশেম, আবু বক্কর হালসানার ছেলে টনি হালসানা, চাঁদ আলীর ছেলে ওমর মেম্বার, ঘটল ভুড়ির ছেলে রিপন মেম্বার, খোরশেদ আলীর ছেলে দানা, দলিল খার ছেলে তাহাজ উদ্দিন, ছাফি কালটার ছেলে হুমায়ুন কালটা,জেহের আলী ছেলে মামুন, মনসুরাত আলীর ছেলে আনার আলী, পিয়ার আলী মন্ডলের ছেলে শফিক, আলিহিমের ছেলের নিয়ত আলী, তেঁতুলের ছেলে ছয়রুদ্দিন,ফরজ আলীর ছেলে সেলিম, জিয়াব উদ্দিনের ছেলে আরিফ, নাসিরের ছেলে রাজ্জাক, আব্দুল আওয়ালের ছেলের সাইফুল ইসলাম।
সোনাপুর গ্রামের গরীবুল্লাহ ছেলে সোহরাব হোসেন, নাজিরা কোনা গ্রামের গরীবুল্লাহ ছেলে রফিকুল ইসলাম, এবং জয়পুর গ্রামের সাকার উদ্দিনের ছেলে ইউপি সদস্য রমজান আলীকে আসামি করে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩।