কথাসাহিত্যের প্রসঙ্গ কথা
আলাপচারিতা Ruhul Quddus Tito
কথাসাহিত্য বলতে সেসব গল্প-কাহিনীকে বোঝানো হয় থাকে যেগুলোর আছে সাহিত্যিক মূল্য, যেমন সামাজিক ভাষ্য, রাজনৈতিক সমালোচনা বা মানুষের অবস্থা ইত্যাদি।
কথাসাহিত্য লেখায় সংলাপ ব্যবহার করা হয় এবং উপর্যুক্ত লক্ষ্যানুসারে তা প্লটের চেয়ে থিমের ওপর বেশি জোর দেয়।
কথাসাহিত্যের বিপরীত ভাবা হয় জনপ্রিয়, বাণিজ্যিক বা বর্গনির্দিষ্ট কাহিনীকে। কেউ কেউ এদের পার্থক্য করেছেন এভাবে- একটি বাস্তবতাকে বিশ্লেষণ করে (কথাসাহিত্য), অন্যটি বাস্তবতা থেকে পলায়ন করে (জনপ্রিয়)। কাহিনীর এই দুটি উপাংশের পার্থক্য নিয়ে সমালোচক ও পণ্ডিতগণ অনেক বিতর্ক করেছেন।
নীল স্টিফেনসন বলেছেন যে, যখন দেখা যাচ্ছে সব সংজ্ঞাই সরল হয়ে যাচ্ছে, তখন কথাসাহিত্য ও বর্গসাহিত্যের সাধারণ সংস্কৃতিতেই ব্যবধান লক্ষণীয়। একদিকে, আজকাল কথাসাহিত্যিকরা পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাচ্ছেন, এবং এরকম অবস্থানে থাকায় তাদের বইগুলোর কাটতির কথা না ভেবে বরং সমালোচকদের কাছে সেটা সমাদর পাচ্ছে কিনা তা দেখছেন। অন্যদিকে বর্গসাহিত্য লেখকগণের প্রবণতা হলো বই বিক্রির সংখ্যা দিয়ে নিজেদের বিচার করা।
কথাসাহিত্য সম্মিলিত নিয়মবদ্ধ কোনো বর্গ নয়, তবে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখে একে সংজ্ঞায়িত করা যায়।
কথাসাহিত্যে সাধারণত “ইন্টারেস্টিং, জটিল এবং উন্নত” চরিত্রগুলোর “অন্তর্মুখী, বিস্তারিত বিশ্লেষণের” দিকে নজর দেয়।কাহিনীকে প্রাধান্য দেয়া বর্গসাহিত্য এর বিপরীত।স্বভাবতই কথাসাহিত্য লোকদের “ভেতরের গল্পের” উপর জোর দেয় যারা কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে চলে এবং আবেগিকভাবে পাঠককেও এতে জড়িয়ে নেয়।
কথাসাহিত্যের শৈলীকে সাধারণত বলা হয় “মার্জিতভাবে লেখা, গীতধর্মী, এবং … স্তরে স্তরে সাজানো”।কথাসাহিত্যের স্বর বর্গসাহিত্যের থেকেও বেশি গাঢ় হতে হতে পারে।
জনপ্রিয় সাহিত্যের থেকে কথাসাহিত্যে গতি কম।টেরেন্স রাফার্টি লিখেছেন, “কথাসাহিত্য, অঃর প্রকৃতি অনুসারেই, নিজে বেপথু হবার ঝুঁকি নিয়েও পদভ্রষ্ট সৌন্দর্যের জন্য নিজেকে দেরি করতে দেয়, যেন গড়িমসি করে।”
তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া