মেহেরপুর জেলা
জনসংখ্যা ৫৯১৪৩৬; পুরুষ ৩০৩১৬৬, মহিলা ২৮৮২৭০। মুসলিম ৫৭৬৯৬২, হিন্দু ৬৭৭৯, বৌদ্ধ ৭৩৮৯, খ্রিস্টান ২১ এবং অন্যান্য ২৮৫।
জলাশয় ভৈরব, ইছামতি, মাথাভাঙ্গা ও কাজলা নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন ব্রিটিশ আমলে মেহেরপুর জেলা অবিভক্ত নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে মেহেরপুর শহরের গোড়াপত্তন হয় এবং ১৯৬০ সালে একে পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মেহেরপুর মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।
জেলা | |||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | উপজেলা | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
শহর | গ্রাম | ||||||||
৭১৬.০৮ | ৩ | ১ | ১৮ | ১৯০ | ২৭৮ | ৬৮১৫৪ | ৫২৩২৮২ | ৮২৬ | ৩৭.৮ |
জেলার অন্যান্য তথ্য | |||||||||
উপজেলার নাম | আয়তন(বর্গ কিমি) | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
গাঙ্গনী | ৩৪১.৯৮ | – | ৯ | ১০০ | ১৪৩ | ২৬৯০৮৫ | ৭৮৭ | ৩৬.৫ | |
মুজিবনগর | ১১২.৬৮ | – | ৪ | ২৭ | ৩০ | ৮৯৮৮৬ | ৭৯৮ | ৪০.২ | |
মেহেরপুর সদর | ২৬১.৪২ | ১ | ৫ | ৬০ | ১০৪ | ২৩২৪৬৫ | ৮৮৯ | ৩৮.৪ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ৩০ ও ৩১ মার্চ গাঙ্গনী উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে আনসার মুজাহিদ এবং সাধারণ জনগনের লড়াইয়ে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত পাকবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর উপজেলায় (পূর্ব নাম: ভবেরপাড়া বৈদ্যনাথতলা) স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম এন এ। একই দিনে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল পাকবাহিনী মেহেরপুর শহরের আমঝুপিতে ৮ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ১ (মেহেরপুর কলেজের পেছনে); গণকবর ২ (কাজীপুর ও টেপুখালির মাঠ); স্মৃতিস্তম্ভ ১: মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৭.৮%; পুরুষ ৩৯.৯%, মহিলা ৩৫.৬%। কলেজ ৭, ভকেশনাল ইনস্টিটিউট ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০০, মাদ্রাসা ১১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মেহেরপুর সরকারি কলেজ (১৯৬২), মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৩), গাঙ্গনী ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৩), মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ (১৯৮৪), গাঙ্গনী মহিলা কলেজ (১৯৯৫), মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় (১৮৫৪), মেহেরপুর মডেল হাইস্কুল (১৮৫৯), মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩৭), মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় (১৯৪০), গাঙ্গনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৮.৯৫%, অকৃষি শ্রমিক ৩.২৪%, শিল্প ০.৮৭%, ব্যবসা ১৩.৮৩%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২১%, নির্মাণ ১.০৩%, ধর্মীয় সেবা ০.১৪%, চাকরি ৩.৮১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৫৯% এবং অন্যান্য ৫.৩৩%।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: আযম; সাপ্তাহিক: পরিচয় (১৯৮৫), চুম্বক (১৯৮৬); পাক্ষিক: পশ্চিমাঞ্চল; মাসিক: সাধক (১৯১৩), পল্লী শ্রী (১৯৩৫), সীমান্ত (১৯৬২), প্রবাহ (১৯৭৯); সাময়িকী: বসুমতি, নন্দনকানন; বুলেটিন: রক্তস্বাক্ষর (অনিয়মিত), আগামী (অনিয়মিত); অবলুপ্ত: সাপ্তাহিক: মুজিবনগর (১৯৮৮), মেহেরপুর (১৯৯২)।
লোকসংস্কৃতি বাউল গান, দেহতত্ত্ব গান, শাস্ত্র গান, মারফতি গান, পালা গান, কবি গান, ধাঁধা, প্রবাদ-প্রবচন উল্লেখযোগ্য।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও কমপ্লেক্স।
তথ্যসূত্র বাংলাপিডিয়া: আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মেহেরপুর জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; মেহেরপুর জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।