ভারতে যুদ্ধবিমানের প্রথম মুসলিম নারী
সানিয়া মির্জা
ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি পরীক্ষায় (এনডিএ) উত্তীর্ণ হয়ে ভারতে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিমানের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানিয়া মির্জা ।সানিয়া মির্জা ভারতের উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা তাঁর বাবা শাহীদ আলী কাজ করেন স্থানীয় টেলিভিশন মেরামতকারী হিসেবে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে ভারতের প্রথম মুসলিম নারী ফাইটার পাইলট হওয়ার পাশাপাশি দেশটির উত্তর প্রদেশ রাজ্যের তিনিই প্রথম ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফাইটার পাইলট হতে যাচ্ছেন।আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি পুনেতে ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে যোগ দেবেন। সানিয়া হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেন।
সানিয়ার বাবা শাহীদ আলী বলেন, ‘সানিয়া ভারতের প্রথম ফাইটার প্লেন চালক অবনী চতুর্বেদীকে আদর্শ মনে করে। শুরু থেকেই সে তাঁর মতো হতে চাইত। ভারতে দ্বিতীয় কোনো নারী হিসেবে সানিয়া ফাইটার পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এনডিএ পরীক্ষায় ১৪৯তম হয়েছে সানিয়া।’
সানিয়া উচ্চমাধ্যমিকে উত্তর প্রদেশ বোর্ডে ১২তম হন। এরপর তিনি সেঞ্চুরিয়ন ডিফেন্স একাডেমিতে এনডিএ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
সানিয়া ভারতের প্রথম ফাইটার বিমান চালক অবনী চতুর্বেদীকে তাঁর আদর্শ মনে করে। ছোটবেলা থেকেই সে অবনীর মতো হতে চাইত। ভারতে দ্বিতীয় কোনো নারী হিসেবে সানিয়া ফাইটার পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এনডিএ পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে ১৪৯তম হয়েছে সানিয়া।
সানিয়া মির্জার মা তাবাসসুম মির্জাও মেয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাদের মেয়ে এখন শুধু গ্রাম নয়; বরং পুরো রাজ্যের গর্ব। সে প্রথম ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে এখন গ্রামের সব মেয়ের জন্য নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণা। ’
সানিয়া নিজ গ্রামের পন্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর মির্জাপুরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পড়ে তিনি উত্তর প্রদেশ বোর্ডে মেধা তালিকায় ১২তম হন। এরপর তিনি সেঞ্চুরিয়ন ডিফেন্স একাডেমিতে এনডিএ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
ইটিভি ভারত অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সানিয়া মির্জা বলেন, ‘ফাইটার পাইলট শাখায় নারীদের জন্য মাত্র দুটি আসন সংরক্ষিত ছিল। প্রথম বার আমি ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় একটি আসন লাভে সক্ষম হয়েছি। একথা প্রচলিত যে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকলেই তাতে নির্বাচিত হয়। তবে হিন্দি মিডিয়ামে পড়েও যে তা অর্জন করা যায় তা এবার প্রমাণিত হলো।
এই বছর এনডিএ পরীক্ষায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট চার শটি আসন ছিল। এতে নারীদের জন্য কেবল ১৯টি এবং ফাইটার পাইলটদ হিসেবে শুধুমাত্র দুটি আসন খালি ছিল। সানিয়া নিজ যোগ্যতায় একটিতে জায়গা করে নেন। এনডিএ পরীক্ষায় সামগ্রিকভাবে ১৪৯তম স্থান পেয়েছেন তিনি।