হাদিস সংকলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ।। মানুষকে দীন শেখাতে এসেছিলেন জিবরাইল (আ.)- হাদিস
রুহুল কুদ্দুস টিটো
ইসলামে হাদিস ইসলামের নবি মুহাম্মাদ সা.– এর কথা, কাজ ও নীরব অনুমোদন বুঝানো হয়, যা নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের শৃঙ্খলের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অন্য ভাষায়, মুহাম্মাদ সা. যা বলেছিলেন; যা করেছিলেন এবং যে কাজ দেখার পর নীরবতা অবলম্বন করেছিলেন, তাই হাদিস। হাদিস হলো পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা সরূপ।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে: “তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্য আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না; কারণ এর সংরক্ষণ এবং পাঠ আমাদের দায়িত্বে। অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠ অনুসরণ করুন। এরপর তা ব্যাখ্যা করা আমাদের দায়িত্ব।”
হাদিসকে ইসলামি সভ্যতার ‘মেরুদন্ড’ বলা হয় এবং ইসলামে ধর্মীয় আইন ও নৈতিক দিকনির্দেশনার উৎস হিসাবে হাদিসের কর্তৃত্ব কুরআনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে, হাদিসের শাস্ত্রীয় কর্তৃত্ব এসেছে মূলত কুরআন থেকে। কারণ কুরআনে মুসলিমদের মুহাম্মদ সা.–কে অনুকরণ করতে ও তার রায় মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (যেমন ২৪:৫৪, ৩৩:২১ নং আয়াতে )। এ জন্যই মুসলমানরা হাদিসকে ইসলামি আইনশাস্ত্রের চারটি উৎসের একটি মনে করে ( অপর তিনটি হল: কুরআন, ইজমা ও কিয়াস)।
কুরআনে ইসলামি আইন সম্পর্কিত আয়াতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। হাদিসে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার বিবরণ (যেমন: গোসল বা অজু )থেকে শুরু করে সালাতের সঠিক ধরন ও দাসদের প্রতি দানশীলতার গুরুত্ব পর্যন্ত সব কিছুরই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এভাবে শরীয়তের (ইসলামি আইন) নিয়মের “বৃহৎ অংশ” কুরআনের সাথে সাথে হাদিস থেকে নেওয়া হয়েছে।
হাদীস সংকলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
সাহাবীগণ ইসলামের সর্বশেষ নবীর কথা ও কাজের বিবরণ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে স্মরণ রাখতেন। আবার কেউ কেউ তার অনুমতি সাপেক্ষে কিছু কিছু হাদীস লিখে রাখতেন। এভাবে তার জীবদ্দশায় স্মৃতিপটে মুখস্থ করে রাখার সাথে সাথে কিছু হাদীস লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ ছিল।
হযরত আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত আনাস ইবনে মালিক প্রমুখ সাহাবীগণ কিছু কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। হযরত আবূ হুরায়রা বলেন “আবদুল্লাহ ইবনে আমর ব্যতীত আর কোন সাহাবী আমার অপেক্ষা অধিক হাদীস জানতেন না। কারণ, তিনি হাদীস লিখে রাখতেন আর আমি লিখতাম না।”
নবীর জীবদ্দশায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রশাসনিক বহু কাজকর্ম লিখিতভাবে সম্পাদনা করা হতো। বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা, সরকারী কর্মচারী এবং জনসাধারনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত নির্দেশ প্রদান করা হতো। তাছাড়া রোম, পারস্য প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশসমূহের সম্রাটদের সাথে পত্র বিনিময়, ইসলামের দাওয়াত এবং বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি ও সন্ধি লিখিতভাবে সম্পাদন করা হতো। আর ইসলামের নবীর আদেশক্রমে যা লেখা হতো তাও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামের নবীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন কারণে হাদীস সংকলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কুরআন মাজীদের সাথে হাদীস সংমিশ্রণ হওয়ার আশংকায় কুরআন পুর্ণ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করতে কেউ সাহস পায়নি। আবূ বকরের আমলে কুরআন মাজীদ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হলে সাহাবীগণ হাদীস লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে আর কোন বাধা আছে বলে অনুভব করেননি। হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষভাগে সাহাবি ও তাবেয়ীগণ প্রয়োজন অনুসারে কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।
অতঃপর উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আযীয হাদীস সংগ্রহের জন্য মদীনার শাসনকর্তা আবু বকর বিন হাজম সহ মুসলিমবিশ্বের বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা ও আলিমগণের কাছে একটি ফরমান জারী করেন যে, আপনারা মহানবী হাদীসসমূহ সংগ্রহ করুন। কিন্তু সাবধান! মহানবী এর হাদীস ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করবেননা। আর আপনার নিজ নিজ এলাকায় মজলিস প্রতিষ্ঠা করে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদীস শিক্ষা দিতে থাকুন। কেননা, জ্ঞান গোপন থাকলে তা একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই আদেশ জারীর পর মক্কা, মদীনা, সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে হাদীস সংকলনের কাজ শুরু হয়।
কথিত আছে যে, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে শিহাব আল-জুহরি সর্বপ্রথম হাদীস সংগ্রহ এবং সংকলনে হাত দেন। কিন্তু তার সংকলিত হাদীসগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর ইমাম ইবনে জুরাইজ মক্কায়, ইমাম মালিক মদীনায়, আবদুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব মিসরে, আব্দুর রাজ্জাক ইয়েমেনে, আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক খুরাসানে, এবং সূফিয়ান সাওরী ও হাম্মাদ ইবনে সালমা বসরায় হাদীস সংকলনে আত্ননিয়োগ করেন। এ যুগের ইমামগণ কেবল দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় হাদীসগুলো ও স্থানীয় হাদীস শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাপ্ত হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তাদের কেউই বিষয়বস্তু হিসেবে বিন্যাস করে হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেননি।
এ যুগে লিখিত হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান প্রামান্য হাদীসগ্রন্থ। ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” গ্রন্থটি হাদীস সংকলনের ব্যাপারে বিপুল-উৎসাহ উদ্দিপনার সৃষ্টি করেছিল। এটি হাদীসশাস্ত্র অধ্যায়নে মুসলিম মণিষীদের প্রধান আর্কষণে পরিণত হয়েছিল। এরই ফলশ্রূতিতে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বে সর্বত্র হাদীস চর্চার কেন্দ্র কিতাবুল “উম্ম” এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের “মাসনাদ” গ্রন্থদ্বয় হাদীসের উপর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। অতঃপর হিজরী তৃতীয় শতাব্দীতে অনেক মুসলিম মণিষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর হাদীস সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে বিখ্যাত হলেন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবূ দাউদ, ইমাম তিরমিজী, ইমাম নাসাঈ, এবং ইমাম ইবনে মাজাহ। এদের সংকলিত হাদীস গ্রন্থগুলো হলো সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে আবূ দাউদ, সুনান আত-তিরমিজী, সুনানে নাসাই এবং সুনানে ইবনে মাজাহ। এই ছয়খানা হাদীসগ্রন্থকে সন্মিলিতভাবে সিহাহ সিত্তাহ বা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীসগ্রন্থ বলা হয়। আব্বাসিয় যুগে হাদীস লিপিবদ্ধের কাজ পরিসমাপ্ত হয়।
ধারাবাহিকভাবে হাদিস সংকলন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উম্মাহ এর অবস্থা ও প্রয়োজনের দিক বিবেচনায়, প্রথমে সাহাবা ও পরবর্তীতে তাবেয়ী, তাবেঈ তাবেঈনসহ সারা উম্মাহ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেন,
মুহাজির ও আনসারদের মধ্য হতে প্রথম ও অগ্রগামীরা, আর যারা তাদেরকে সততার সাথে অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট, তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই হল মহান সফলতা।[সূরা আত-তাওবাহ্; আয়াত -১০০]
“এছাড়া, আমরা তো আপনাকে সমগ্ৰ মানবজাতির জন্যে সুসংবাদ দাতারূপে ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।” [সূরা সাবা, আয়াত-২৮]
(সাহাবা) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার উম্মাতের সর্বোত্তম মানুষ আমার যুগের মানুষ (সাহাবীগণ)। অতঃপর তৎপরবর্তী যুগ (তাবেঈন)। অতঃপর তৎপরবর্তী যুগ (তাবেঈ তাবেঈন)। অতঃপর এমন লোকদের আগমন হবে যাদের কেউ সাক্ষ্য দানের পূর্বে কসম এবং কসমের পূর্বে সাক্ষ্য দান করবে। ইব্রাহীম (নাখ্য়ী; রাবী) বলেন, ছোট বেলায় আমাদের মুরুব্বীগণ আল্লাহ্র নামে কসম করে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য এবং ওয়াদা-অঙ্গীকার করার কারণে আমাদেরকে মারধর করতেন। [সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৬৫১, হাদিসের মান; সহিহ হাদিস]
তবে এহ্মেত্রে, মুসলিম জাতি বিষয়ভেদে প্রথমে তাদের মধ্যকার কর্তৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের সিদ্ধান্ত, রায়, ভাল কাজের আদেশের অনুসরণ করে, যা সাধারণত তাদের বর্ননা, বইয়ের উপর নির্ভর করে করা হয়।
অনুসারীদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে সাহাবা, দ্বিতীয়ত তাবেঈন, তৃতীয়ত তাবেঈ তাবেঈন, চতুর্থ পর্যায়ে আলিম, আল্লামা, খলিফা, ইমাম, গ্রান্ড ইমাম, মুজতাহিদ, মুহাদ্দিস, মুয়াযযিন, গাজী, আমিরকে সাধারণত শুরু থেকেই ইসলামে কতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইসলামি নির্দেশনা শুধুমাত্র কুরআনের উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত এবং এভাবে তারা হাদিসের কর্তৃত্ব প্রত্যাখ্যান করেন।
হাদিসের প্রামাণ্যতা বিষয়ে যুগে যুগে শতাধিক গ্রন্থ রচনা করা হয়েছে।কিছু হাদিসে সন্দেহজনক ও এমনকি পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও অন্তর্ভুক্ত থাকার জন্যে হাদিসের প্রমাণীকরণ ইসলামে অধ্যয়নের একটি প্রধান ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
শাস্ত্রীয় আকারে একটি হাদীসের দুটি অংশ আছে: ইসনাদ ( বা বর্ণনাকারীদের শৃঙ্খল, যারা হাদিস বর্ণনা করেছেন) মতন ( হাদিসের মূল পাঠ)। স্বতন্ত্র হাদিসকে মুসলিম ধর্মগুরু ও আইনবিদগণ “সহিহ” (প্রমাণিক), “হাসান” ( মধ্যম মানসম্পন্ন) এবং “জয়িফের” (দুর্বল) মতো শ্রেণীতে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন।
- সুন্নি ইসলামের পণ্ডিতদের মধ্যে হাদিস শব্দটি শুধুমাত্র মুহাম্মদ স. কথা, উপদেশ, অনুশীলন ইত্যাদিই নয়; এটি তাঁর সাহাবীদের কথা, উপদেশ ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করে।
- শিয়া ইসলামে হাদিস হলো, সুন্নাহের মূর্ত প্রতীক, যা মুহাম্মাদ সা. ও তার পরিবার আহল আল-বাইতের (বারো ইমাম ও মুহাম্মদের সা. কন্যা ফাতিমা) কথা, কাজ ও অনুশীলন।
ওহে যারা ঈমান এনেছ; তোমরা আল্লাহর অনুগত কর এবং রসূলের অনুগত কর এবং প্রথম নির্দিষ্ট কতৃস্থানীয় অনুসারীদের থেকে ; যদি অতঃপর কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তবে তা প্রত্যার্পণ কর আল্লাহ এবং রসূলের প্রতি। এটা উওম ও প্রকৃষ্টতর,পরিণতিতে। [সূরা আন-নিসা, আয়াত ৫৯]
দীন শেখাতে এসেছিলেন জিবরাইল (আ.)
আবু হুরাইরাহ (রা.)–র বরাতে এটি বর্ণনা করা হয়েছে।
আবু হুরাইরাহ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) একদিন জনসমক্ষে বসা ছিলেন। এমন সময় তাঁর কাছে একজন লোক এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইমান কী?’
তিনি বললেন ‘ইমান হলো আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, কিয়ামতের দিন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাঁর রাসুলদের প্রতি আপনার বিশ্বাস। আপনাকে আরও বিশ্বাস রাখতে হবে পুনরুত্থানে।’
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলাম কী?’
তিনি বললেন, ‘ইসলাম হলো আল্লাহর ইবাদত এবং তাঁর সঙ্গে অংশীদার স্থাপন না করা, নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, ফরজ জাকাত আদায় করা, আর রমজানের রোজা পালন করা।’
লোকটি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইহসান কী?’
তিনি বললেন, ‘আপনি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন। আর যদি তাঁকে দেখতে না পান, তবে মনে করবেন তিনি আপনাকে দেখছেন।’
লোকটি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিয়ামত কবে?’
তিনি বললেন, ‘এ ব্যাপারে যাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তিনি প্রশ্নকর্তার চেয়ে বেশি জ্ঞাত নন। তবে আমি আপনাকে কিয়ামতের আলামতগুলো বলে দিচ্ছি। বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। কিয়ামতের জ্ঞান সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না।’
অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন ‘কেয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই নিকট।’ (সুরা লুকমান, আয়াত: ৩১)
লোকটি চলে গেলে তিনি বললেন, ‘তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কাউকে দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, ‘ইনি জিবরাইল (আ.)। লোকদের তাদের দীন শেখাতে এসেছিলেন।’
আবু আবদুল্লাহ বুখারি (রহ.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এসব বিষয়কে ইমানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। -মুসলিম, হাদিস: ৪৭৭৭
তথ্যসূত্র:উইকিপিডয়া,হাদিস গ্রন্থ