আমার কোন পার্সোনাল এজেন্ডা নেই, আমার কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই, আমার সকল এজেন্ডা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য -জনপ্রশাসন মন্ত্রী
আলাপচারিতা
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগনের জন্য আমাদের সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই দূর্নীতি সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে দূর্ণতির অভিযোগ উঠবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী এ কথা বলেন ।
মেহেরপুর-১ আসনে তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় ফরহাদ হোসেনকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন,প্রশাসনকে জনগনের সেবক হিসাবে কাজ করতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসেন দূর্নীতি থাকলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। তাই কোন ধরনের দূর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপর অর্পিত দায়িত্ব যদি সঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে। প্রতিটি দপ্তরে এমন আবহাওয়া তৈরি করতে হবে যাতে করে মানুষ আমাদের উপর আস্থা রাখে। আমাদের কাছে আগামী ৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সুন্দর,উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার কোন পার্সোনাল এজেন্ডা নেই, আমার কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। আমার সকল এজেন্ডা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শামীম হাসানসহ জেলার সকল সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান এবং পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, ডা. অলোক কুমার দাস , বিজ্ঞ পিপি পল্লব ভট্টাচার্য্য মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রবিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভুরাম পাল প্রমূখ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সহধর্মিনি ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলার সকল সরকারি দপ্তরের প্রধানরা।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার (জে এম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা) রনি খাতুন।
ফুলের তোড়া শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যারাপর্যায়ক্রমে পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, মেহেরপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা,মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রবিউল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভুরাম পাল, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা হীরা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আজগর আলী, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম কুমার সাহা, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী, এন এস আই”র ডিডি মিজানুর রহমান, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড.নজরুল ইসলাম, মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহসিন আলী আঙ্গুর, জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত, মৎস্য কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি, র্যাব কমান্ডার মনিরুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলসী কুমার পাল, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ,জেলা সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আফতাব আলী খান, মেহেরপুর জেলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দিন আহমেদ চুন্ন সহ সকল দপ্তরের পক্ষে পৃথক পৃথকভাবে ফুলের তোড়া প্রদান করা হয়।