ইসরাইলের আরো ৮ সেনা নিহত, ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ১৩ জন ।।
ইসরাইলি বিমান হামলায় এক পরিবারের ৭৬ ফিলিস্তিনি শহীদ
ইসরাইলের দখলদার বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার গাজায় যুদ্ধ করতে গিয়ে তাদের আরো আট সেনা নিহত হয়েছে। তার আগের সন্ধ্যায় মারা গেছে পাঁচজন। গতকাল নিহত আট সেনার মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদায় কর্মকর্তা রয়েছে।
এ নিয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বক্তব্য অনুযায়ী, গত সাত ২৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে ১৫৩ জন দখলদার সেনা নিহত হলো।
তবে গাজার হামাসসহ অন্য প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো বলছে, এর চেয়ে অনেক বেশি সেনা গাজায় নিহত হয়েছে কিন্তু সেসব তথ্য দখলদার ইসরাইল গোপন করছে। কারণ, গাজায় নিহত সব সেনার তথ্য প্রকাশ করলে জনমত আরো বেশি বিগড়ে যেতে পারে।
গাজার যোদ্ধাদের হাতে আটক একজন বন্দীকেও ইসরাইলি সেনারা এ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি। বরং গাজায় অভিযান চালাতে গিয়ে বহু সংখ্যক সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া, ইসরাইলের সেনাদের হাতেই বেশ কয়েকজন বন্দি মারা গেছে। এ সমস্ত ঘটনায় যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহুর সরকার প্রচণ্ড চাপের মুখে আছে।
ইসরাইলি বিমান হামলায় এক পরিবারের ৭৬ ফিলিস্তিনি শহীদ
ইসরাইলের বিমান হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এক পরিবারের ৭৬ সদস্য সহ ৯০ জন শহীদ হয়েছেন। ইসরাইল এই বিমান হামলাটি চালিয়েছে শুক্রবার এবং গতকাল এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত খবর এসেছে।
খবরে বলা হয়েছে, মধ্য গাজায় ইসরাইলি বিমানবাহিনীর হামলায় দুটি ভবন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয় এবং সেখানে আল-মুগরাবি পরিবারের ৭৬ সদস্য সহ ৯০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপিতে কর্মরত ইসাম আল-মুগরাবি, তার স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তান রয়েছেন। ইসাম তিন দশক ধরে এ সংস্থায় কাজ করছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় যে বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে এই হামলাকে অন্যতম বড় প্রাণঘাতী হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউএনডিপির পক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসাম এবং তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু আমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, “গাজার বেসামরিক নাগরিক এবং জাতিসংঘের অফিসগুলো কোনভাবেই ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। অবশ্যই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলি হামলায় যে সমস্ত বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের শোক এবং দুর্দশা অন্যদের পক্ষে বহন করার মতো অবস্থা থাকছে না।”
তথ্যসূত্র: পার্সটুডে